নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঘাযতীন এলাকায় ঘরে ঘরে আন্ত্রিক। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় স্বীকার করে নিয়েছেন জল থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। অসহায় বাসিন্দারা সংক্রমণ ঠেকাতে দামি ব্র্যান্ডের জার বা বোতলবন্দি জল কিনে খাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও স্বস্তি নেই। নামী ব্র্যান্ডেড বোতলবন্দি জলেও মিলেছে জীবাণু। এই ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বোতলবন্দি জলের এমন ১৬টি নুমনা ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠায় পুরসভা। এই ১৬টি নমুনার মধ্যে ১৩টি প্যাকেজড জলের নুমনাতেই মিলেছে ক্ষতিকর জীবাণু। এরপরই কপালে ভাঁজ পুর কর্তৃপক্ষের। নামী লেবেল ব্যবহার করে জলের জালি কারবার চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট সবকটি সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছে পুরসভা। পাশাপাশি, আগামী বুধবার রাজ্য সরকারে সংশ্লিষ্ট দফতর ও কলকাতা পুলিসের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কলকাতা পুরসভা। সেখানেই এই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তার রূপরেখা তৈরি হবে বলে সূত্রে খবর।


দক্ষিণ কলকাতা লাগোয়া শহরতলি ব্রহ্মপুর-বোড়ালে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রায় কুটির শিল্পে পরিণত। অলিগিলিতে গজিয়ে ওঠা অজস্র প্ল্যান্টে প্রতিদিন বোতলবন্দি হচ্ছে কয়েক লাখ লিটার জল। তারপর সেই জলই পৌঁছে যাচ্ছে শহরের বাড়িতে বাড়িতে।


আরও পড়ুন, বোতলবন্দি জল থেকেই আন্ত্রিকের সংক্রমণ, দাবি মেয়র শোভনের


ছোট্ট এক চিলতে ঘর। তারই এক পাশে বসানো বেশ কয়েকটি ফিল্টার। জল পরিশোধনের ব্যবস্থা বলতে এটুকুই। এবার বিভিন্ন জায়গা থেকে নোংরা জার ঢুকছে প্ল্যান্টে। পাতি সাবান আর হাত দিয়ে পরিষ্কার করা সেই জারেই ভরা হচ্ছে 'ফিল্টার' করা জল। তারপর হাত দিয়েই সিল করা হচ্ছে সেই জার। পকেটের রেস্ত খরচ করে নিরাপদ ভেবে এই জারবন্দি জলই পান করছেন দক্ষিণ শহরতলির বহু মানুষ।