নিজস্ব প্রতিবেদন: বেলেঘাটা কাণ্ডে কীভাবে ব্রেকথ্রু? অভিযুক্ত মহিলার অক্ষত চশমা আর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। মূলত এই দুটো সূত্রই দুই ধরিয়ে দিল  সন্ধ্যা জৈন মালোকে। ঠিক কীভাবে তদন্তের সমাধান করলেন গোয়ান্দারা। দেখুন...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোন পথে পর্দাফাঁস?


২৬ জানুয়ারি ঘটনার পর সন্ধ্যা দাবি করেন, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ফ্ল্যাটের দরজা খুলতেই এক যুবক ভিতরে ঢুকে তাঁকে ধাক্কা মারে। আঘাত পেয়ে লুটিয়ে পড়ার সময় তিনি ওই যুবককে আবছা দেখেছিলেন। যুবকের পরনে সাদা ট্রাউজার ছিল বলে দাবি করেন সন্ধ্যা। অপহরণের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সন্ধ্যা ছাড়া গোটা আবাসনে আর কাউকেই পায়নি পুলিস অথচ বেলেঘাটার "মল্লার আবাসন' একেবারে বড় রাস্তার ধারে জনবহুল এলাকায়। আবাসনে সিসিটিভি না থাকায় রাস্তার সিসিটিভির সাহায্য নেয় পুলিস। "মল্লার' আবাসনের বাঁদিকে এটিএম কাউন্টার লাগোয়া সিসিটিভি। ডানদিকে ফুলবাগান মোড়ে DCESD-র অফিসের সামনে সিসিটিভি দুই সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিস।


অন্যান্যরা জানাচ্ছেন, ২৬ জানুয়ারি সারাদিনে সাদা ট্রাউজার পরা কাউকে আবাসন থেকে বেরোতে দেখা যায়নি। পাশাপাশি সন্ধ্যা যদি হামলাকারীকে আবছাই দেখে থাকেন, তাহলে তিনি পুলিসের কাছে বর্ণনা দিয়ে অভিযুক্তের স্কেচ আঁকালেন কীভাবে? তা দেখে সন্দেহ বেড়ে যায় গোয়েন্দাদের। রাতে সন্ধ্যার ফ্ল্যাটে পুলিসের তল্লাশি শুরু হয়। উদ্ধার হয় সন্ধ্যার অক্ষত চশমা। ২৬ জানুয়ারি হামলার সময় সন্ধ্যার পরনে কী ছিল? জানতে চেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আক্রান্ত হওয়ার সময় তাঁর চোখে চশমা ছিল বলে জানিয়েছিলেন সন্ধ্যা। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, যুবক ঘরে ঢুকেই তাঁকে ঘুষি ও চড় মারে। তারপর ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। পুলিসের প্রশ্ন, এত ধস্তাধস্তিতেও চশমা অক্ষত রইল কীভাবে?


সবমিলিয়ে সন্ধ্যার বয়ানে একের পর এক অসংগতি লক্ষ্য করা যায়। শেষমেশ জেরায় ভেঙে পড়েন সন্ধ্যা