ওয়েব ডেস্ক:  জীবনদায়ী ওষুধ থেকে শুরু করে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের যাবতীয় সরঞ্জাম। নায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের মাধ্যমে অত্যন্ত কম খরচে পৌঁছে যাচ্ছে মানুষের হাতে। রাজ্যে এমনওষুধের দোকানের সংখ্যা একশো নটি। প্রতি মাসে ওষুধ কেনেন গড়ে প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাঁ খাঁ করছে একের পর এক দোকান। দেখা নেই খরিদ্দারের। ব্যস্ত দুপুরে মাছি তাড়াচ্ছেন ওষুধ বিক্রেতারা। লাটে উঠতে বসেছে ব্যবসা। এখন এমনই বেহাল দশা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বাইরের ওষুধ ব্যবসায়ীদের। গত কয়েক বছরে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যবসা। লাভের অঙ্ক তলানিতে। ছবিটা অবশ্য কিছু দিন আগেও অন্য রকম ছিল। সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে চিকিত্সা করাতে আসা রোগীদের ওষুধ কিনতে ছুটতে হতো হাসপাতালের বাইরে। ভিড় উপচে পড়ত এইসব বেসরকারি দোকানে। তাহলে আজ এই চিত্র কেন? কারণটা ওষুধ ব্যবসায়ীদের কাছে অজানা নয়। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। যেখানে ওষুধের ছাপানো দামের ওপর ৪৮ থেকে ৭৭.৭ শতাংশ হারে ছাড় মিলবে। এটাই ছিল পালাবদলের পর স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের প্রথম অভিনব উদ্যোগ। পশ্চিমবঙ্গের 'ফেয়ার প্রাইস শপ মডেল' আজ অনুকরণ করতে চায় বহু রাজ্যই। এরাজ্যে নায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের পথ চলা শুরু ২০১২-এর ডিসেম্বরে। প্রথমে কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে। পরে রাজ্যের সব জেলা ও মহকুমায় তৈরি হয় মূল্যের ওষুধের দোকান। স্বাস্থ্য দফতরের নথি বলছে, ২০১৫-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের ১০৯ টি হাসপাতালে তৈরি হয়েছে নায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। যেখান থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৭ লক্ষ মানুষ ওষুধ কেনেন।


পড়ুন ঘরহারাদের ঘর দিচ্ছে সরকার


সরকারি রেকর্ড বলছে, ২০১৫-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নায্য মূল্যের দোকান থেকে ওষুধ কিনেছেন মোট ২ কোটি, ৩ লক্ষ মানুষ। টাকার অঙ্কে বিক্রির পরিমান ৯৪০ কোটি। ১০৯টি দোকানের ওষুধ বিক্রির নিরিখে মোট ছাড়ের পরিমান ৫৮৫ কোটি টাকা। শুধু সস্তার ওষুধ নয়। নায্য মূল্যের দোকান থেকে আজ কম পয়সায় পাওয়া যায় অস্ত্রোপচার এবং প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও। একই ভাবে পিপিপি মডেলে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনেস্টিক সেন্টার তৈরি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যেখানে বাজার দরের থেকে অর্ধেক খরচে এক্স রে, ডায়ালিসিস, সিটি স্ক্যান, এমআরআই করা হয়। অর্থিক ভাবে দূর্বল মানুষ জনের  জন্য এই পরিষেবা অবশ্য নিখরচায়। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৭৭টি হাসপাতালে ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনেস্টিক সেন্টার তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, ২০১৬-র মে মাসের মধ্যে এই সংখ্যা ৯৪-এ গিয়ে দাঁড়াবে।