সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিত্‍সা পেতে ইদানিং হাতিয়ার হয়ে উঠেছে জনপ্রতিনিধিদের লেখা চিঠি। আর এই সুপারিশেরই অপব্যবহারে নাভিশ্বাস উঠছে কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলির। খালি হয়ে যাচ্ছে হাসপাতালের ফান্ড। সঙ্কট কাটাতে এবার তাই নয়া দাওয়াই নিয়ে হাজির ন্যাশনাল মেডিক্যাল। মন্ত্রী-আমলা-জনপ্রতিনিধিদের লিখে দেওয়া ফ্রি-চিকিত্‍সার সুপারিশ চিঠি। প্রায় সবকটি সরকারি হাসপাতালেই ইদানিং মুড়িমুড়কির মতো জমা পড়ছে এ ধরনের চিঠি।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এর জেরে ক্রমশ ভেঙে পড়ছে সরকারি হাসপাতালগুলির অর্থনৈতিক কাঠামো। ন্যাশনাল মেডিক্যালে রোগীকল্যাণ সমিতির ফান্ডে এক বছর আগেও মাসে চল্লিশ লক্ষ টাকা থাকত। যে টাকা হাসপাতালের নানা আপদকালীন খরচ মেটাতে ব্যবহার হত। কিন্তু চলতি মাসে সেই টাকার অঙ্ক নেমে দাঁড়িয়েছে ১০ লক্ষে। সংকট কাটাতে এবার ফ্রি-পরিষেবায় রাশ টানতে চলেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল। সার্কুলার জারি করেছেন সুপার। জানানো হয়েছে, দামি টেস্ট করাতে হলে এখন থেকে শুধু জনপ্রতিনিধিদের চিঠি নিয়ে এলেই হবে না। যাচাই করা হবে রোগীর প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থা। দামি পরীক্ষার তালিকায় রয়েছে, ইসিজি, ইএমজি, ইকো কার্ডিওগ্রাফি, হল্টার মনিটর, আলট্রা সনোগ্রাফি, এমআরআই, সিটি স্ক্যান, এনসিভি।


তবে এমন নয়, যে কেউই বিনা খরচে চিকিত্‍সার সুযোগ পাবেন না। সে সুযোগ যাতে শুধু দুঃস্থরাই পান, এজন্য যাচাই করে নেওয়া হবে রোগীর প্রকৃত আর্থিক অবস্থা।