C V Ananda Bose: সুকান্ত রাজভবন থেকে ফেরার পরই রাজ্য নিয়ে কড়া বার্তা রাজ্যপালের, ট্র্যাকে ফিরছেন; বললেন শুভেন্দু
এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী একেক দিন একেক রকম কথা বলেন। ওঁকে ওদের দলের কেউ নম্বর দেয় বলে মনে হয় না। বিধানসভা অসৌজন্যমূলক আচরণের পর রাজ্যপালের সামনে মুখ দেখানোর মতো যোগ্যতাও আর ওঁর নেই
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আজ রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বিবৃতি জারি করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা, ভোটে হিংসা-সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বলা যেতে পারে কিছুটা কড়া বার্তাই দিলেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-দাদার চাকরিতে বোন; মায়ের বদলে পড়াচ্ছেন ছেলে, আজব কাণ্ড জলপাইগুড়ির স্কুলে
সি ভি আনন্দ বোস রাজ্যপালের পদে আসার পর থেকেই তাঁকে নিশানা করে চলেছে গেরুয়া শিবির। তাঁকে রাজ্যের জেরক্স মেশিনও বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তবে আজ সুকান্ত মজুমদার তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি জারি করলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সাংবাধানিক প্রধান হিসেবে এই মুহূর্তে তিনি কী ভাবছেন তাও স্পষ্ট করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে মূল তিনটি বিষয়ের উপরে জোর দিয়েছেন রাজ্যপাল। তার মধ্যে অন্যতম হল আইনের শাসন, মানুষের উন্নয়ন ও সংবিধানকে প্রাধান্য দেওয়া। স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট যাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হতে পারে তার জন্য ঠিক সময় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যবাসীর দুর্বল অংশের কথা তিনি জানেন। এনিয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। আচার্য সংক্রান্ত বিল এখনও রাজ্যপালের কাছ থেকে সই হয়ে আসেনি। এনিয়েও তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এনিয়ে স্টেটাস কো বজায় রাখার কথাই বলেছেন রাজ্যপাল। মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী এই মর্মে একটি বিল পাস করিয়েছে রাজ্য সরকার। তা যে আপাতত হচ্ছে না তা জানিয়ে দিলেন সি ভি আনন্দ বোস। লোকায়ূক্ত নিয়েও অন্যরকম সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের বিবৃতিতে। রাজ্যপালের বিবৃতির শেষ অংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে বলা হয়েছে, যে যে পদেই থাকুন না কেন, সবার উপরে আইন।
রাজ্যপালের এই বিবৃতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকে এতদিন ভুল বোঝানো হচ্ছিল। এতদিন তিনি ট্র্যাকে ফিরছেন। সংবিধানকে রক্ষা করার ব্যবস্থা করছেন।
অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী একেক দিন একেক রকম কথা বলেন। ওঁকে ওদের দলের কেউ নম্বর দেয় বলে মনে হয় না। বিধানসভা অসৌজন্যমূলক আচরণের পর রাজ্যপালের সামনে মুখ দেখানোর মতো যোগ্যতাও আর ওঁর নেই। রাজ্যের কাজ ভালো লাগছে, রাজ্যপাল প্রশংসা করছেন। কোনও জায়গায় যদি তাঁর কোনও জিজ্ঞাস্য থাকে তাহলে তিনি তার জানতে চাইছেন। একটা সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ চলছে। এর মধ্যে এরা আসছে কোথা থেকে। আসলে সুকান্ত মজুমদার আসলে গিয়েছিলেন ক্ষমা চাইতে। শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিধায়নভায় যে রাজ্যপালকে হায়হায় স্লোগান দেওয়া হয়েছে তার পর আজ রাজ্যপালের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে এসেছেন সুকান্ত। এমনটাই আমাদের কাছে খবর আছে।