নিজস্ব প্রতিবেদন:  একদিকে নির্বাচিত সরকার, অন্যদিকে সাংবিধানিক প্রধান। রাজ্যে ক্ষমতায় অলিন্দে নজিরবিহীন সংঘাত। রাজ্য়পালকে যখন অপসারণের দাবি তুলেছে শাসকদল তৃণমূল, তখন চুপ করে থাকলেন না জগদীপ ধনখড়ও। তাঁর পাল্টা জবাব, 'রাজ্যে আইনের শাসন নেই। আমি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। অপশাসন দেখলে চুপ করে থাকতে পারি না।' নবান্ন-রাজভবন দ্বন্দ্ব এবার কোনদিকে গড়াবে? কৌতুহল বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  পুলিসকে বলছে, আমাকে গ্রেফতার করুন, ফটো দিখানা পড়েগা,কৈলাসকে নিশানা মমতার


বিধানসভা ভোটের আগে কি সক্রিয়তা আরও বাড়ছে রাজ্যপালের? বিভিন্ন ইস্যুতে টুইট করে রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কখনও সরকার, তো কখনও আবার শাসকদলের তরফেও পাল্টা জবাব আসছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার যা ঘটল, আগে কখনও তেমনটা ঘটেনি। স্রেফ কটাক্ষ বা পাল্টা আক্রমণ, এবার সরকারি কাজে বাধা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণের আর্জি জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বললেন কলকাতা পুলিশকেও! ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, 'রাজ্যপালকে নিয়ে যেভাবে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চলছে, তা বাংলার রাজনৈতিক ও সার্বিক সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত করছে।' তিনি স্মরণ করে দিয়েছেন, 'রাজ্যপালের নির্দিষ্ট পদমর্যাদা আছে'।


আরও পড়ুন: রেলের গড়িমসিতেই মাঝেরহাট সেতু নির্মাণে দেরি, BJP-কে পাল্টা রাজ্য সরকারের


আর যাঁকে নিয়ে এতকাণ্ড, সেই রাজ্যপাল কী বলছেন? তাৎক্ষনিক কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি, কয়েক ঘণ্টার পর অবশেষে মুখ খুললেন জগদীপ ধনখড়। বললেন, 'রাজ্যে আইনের কোনও শাসন নেই। পুলিশের রাজনীতিকরণ চলছে।' রাজ্যপালের আরও বক্তব্য, তিনি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ। অপশাসন দেখলে চুপ করে থাকতে পারেন না। দিন কয়েক আগেই রাজ্যে গরু পাচার ও কয়লাকাণ্ড নিয়ে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'আইনের উর্ধ্বে নয় কেউই।' অপসারণের দাবির উত্তরে ফের সেকথাই বললেন তিনি।