`জাতীয়তা নিয়ে আপোস অনুচিত`, মমতাকে গণভোট মন্তব্য প্রত্যাহারের আবেদন ধনকড়ের
এদিন মমতা বলেন,``সারা ভারতবর্ষে একটা গণভোট হোক হয়ে যাক। আপনি করবেন না। রাষ্ট্রসঙ্ঘ করবে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা থাক।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাষ্ট্রসঙ্ঘের নজরদারিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে গণভোটের দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণভোটে হেরে গেলে নরেন্দ্র মোদীকে পদত্যাগের চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। অবিলম্বে তাঁর গণভোট মন্তব্যের প্রত্যাহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
একইসঙ্গে রাজ্যপাল টুইটে আরও বলেন, জাতীয়তা নিয়ে কখনও আপোস করা উচিত নয়। দেশ সবসময় প্রথমে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে গণভোট মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। এই জাতীয় মন্তব্য তাঁকে অত্যন্ত ব্যথিত করেছে বলেও টুইটে উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
প্রসঙ্গত এদিন রানি রাসমণি রোডে তৃণমূল ছাত্র-যুবর সমাবেশ থেকে মমতা বলেন,''সারা ভারতবর্ষে একটা গণভোট হোক হয়ে যাক। আপনি করবেন না। রাষ্ট্রসঙ্ঘ করবে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা থাক। তাদের নিয়ে কমিটি হোক। তৃণমূলের থাকার দরকার নেই। বিজেপির থাকার দরকার নেই। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খৃষ্ট্রানের দরকার নেই।''
আরও পড়ুন, ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলার পথে রেল
গণভোটে হেরে গেলে নরেন্দ্র মোদীকে পদত্যাগের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ''একটা গণভোট হোক। আমরা দেখতে চাই কত লোক CAA ও NRC মানছে? বলুন হেরে গেলে ইস্তফা দেবেন?'' প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীরে দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে আসছে পাকিস্তান। এমনকি গণভোটেরও দাবি জানিয়েছে তারা। কিন্তু ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট, কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষকে মাথা গলাতে দেওয়া হবে না।