নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় তত্পর রাজ্য। গতকাল রাত ১০টায় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে নবান্নের কন্ট্রোলরুম দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করতে। এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলেছে, বুলবুলে বলি হয়েছে ২ জনের। আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই ব্যাপক প্রাণহানি থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার সকালে রাজ্য সরকারের তত্পরতার প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যপাল টুইট করে জানান,  নৌসেনা, রাজ্য পুলিস এবং উপকূল রক্ষী পরিস্থিতি নজর রাখছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে আনতে নানা পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। এ দিন রাজ্যপাল এনজিও সংস্থাগুলিকে এগিয়ে আসার বার্তাও দিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাত পর্যন্ত কড়া নজরে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত সাড়ে ১০টায় নবান্ন কন্ট্রোল রুমে নিজে বসে তদারকি করেছেন। খোলা হয়েছে কন্ট্রলরুমও।



মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবিবার সকাল থেকেই ড্রোন নিয়ে নজরদারি শুরু হবে। কোন এলাকায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও বলেন, যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙেছে এবং চাষের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। রাত পর্যন্ত ৩১৫টি সাইক্লোন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছে ১.৬৪ লক্ষ মানুষকে। ২১৫টি রান্নাঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব দায়িত্ব সরকারের বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।



উল্লেখ্য, ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আপাতত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে রওনা দিয়েছে। বেলা বাড়তেই দক্ষিণের জেলাগুলিতে আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। কলকাতা থেকে ১১৫ কিলোমিটার সাগর দ্বীপ থেকে ১২০ কিলোমিটার এবং সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে সরে বাংলাদেশ উপকূলবর্তী অঞ্চলের ওপর অবস্থান করছে।