নিজস্ব প্রতিবেদন : 'রাজভবনে এস। সারাদিন বসে সবার সব প্রশ্নের উত্তরে দেব।' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে বেরনোর মুখ বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের মুখোমুখি হয়ে বললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আরও জানালেন, আগামিকাল মঙ্গলবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান না হলেও তিনি আসবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্ট মিটিয়ংয়ে যোগ দিতে গিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌঁছতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান, দেখানো হয় কালো পতাকা। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতেই ঘেরাও হয়ে বসে থাকেন তিনি। গাড়ির কাচ নামিয়ে কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। কিন্তু তারপরেও বিক্ষোভকারীরা পিছু হঠেনি।  


বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভের মাঝেই অরবিন্দ ভবনে ঢোকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সবাই উপস্থিত থাকলেও, শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক না করতে অনড় থাকে। অন্যদিকে বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত ভেস্তেই যায় কোর্ট মিটিং। এরপরই অরবিন্দ ভবন থেকে বেরনোর মুখে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।


রাজ্যপালের উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। রাজ্যপালকে এনআরসি, সিএএ সহ একাধিক ইস্যুতে প্রশ্ন করেন পড়ুয়ারা। এনআরসি, সিএএ নিয়ে তাণ্ডব বিক্ষোভ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি হিংসার সমর্থক নন। যে কোনও ধরনের হিংসার বিরুদ্ধে তিনি। পাশাপাশি তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। তৃণমূল নেত্রীকে 'অনুপ্রবেশ দিদি' বলে উল্লেখ করে ধনখড় কটাক্ষ করেন, "যাঁরা উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছেন, তাঁরা দেশদ্রোহী। ওনারা গিয়েছেন ওদের পাশে দাঁড়াতে।"


আরও পড়ুন, হাইকোর্টে মামলার জেরে CAA বিরোধিতায় খানিক পিছু হঠল রাজ্য সরকার


আলাপচারিতার সময়ই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের রাজভবনে আসার বার্তা দেন তিনি। বলেন, 'রাজভবনে এস। সারাদিন সবার সব প্রশ্নের উত্তর দেব।' একইসঙ্গে তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের উদ্দেশে। রাজ্য সরকারের কাজে 'ঢিলেমি' আছে, কিন্তু তিনি যেকোনও ইস্যুতে 'দুরন্ত' কাজ পছন্দ করেন বলে জানান।