নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুরকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কোর্ট মিটিংয়ে যোগ দিতে তিনি আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। কিন্ত, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও হেলদোলই ছিল না রাজ্য সরকারের। এভাবেই টুইটারে তোপ দাগলেন ধনখড়। একইসঙ্গে ভেস্তে যাওয়া কোর্ট মিটিংটি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানালেন রাজভবনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টুইটারে ধনখড় লিখেছেন, "ঘণ্টা দুই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম। বিভিন্ন বিষয়ে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা হল। ওদের সবাইকে বললাম যে পরবর্তীতে রাজভবনে ওদের সঙ্গে কথা বলতে আমি আগ্রহী। তবে কোর্ট মিটিংটি করা যায়নি। আজ সন্ধ্যায় রাজভবনেই মিটিংটি করার নির্দেশ দিয়েছি। যাতে ছাত্রছাত্রীদের কেরিয়ার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও অবহেলা না হয়। রাজ্য সরকারের তো আমার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও হেলদোলই ছিল না।"





প্রসঙ্গত, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্ট মিটিংয়ে যোগ দিতে গিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকে যোগ দিতে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌঁছতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান, দেখানো হয় কালো পতাকা। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতেই ঘেরাও হয়ে বসে থাকেন তিনি। গাড়ির কাচ নামিয়ে কথা বলেন পড়ুয়াদের সঙ্গে। কিন্তু তারপরেও বিক্ষোভকারীরা পিছু হঠেনি।  


বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভের মাঝেই অরবিন্দ ভবনে ঢোকেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সবাই উপস্থিত থাকলেও, শিক্ষাকর্মীদের সংগঠন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক না করতে অনড় থাকে। অন্যদিকে বাইরে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত ভেস্তেই যায় কোর্ট মিটিং। এরপরই অরবিন্দ ভবন থেকে বেরনোর মুখে বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।


আরও পড়ুন, বড়দিনে মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির পূর্বাভাস! বছর শেষে জাঁকিয়ে শীত


আলাপচারিতার সময়ই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের রাজভবনে আসার বার্তা দেন তিনি। বলেন, 'রাজভবনে এস। সারাদিন সবার সব প্রশ্নের উত্তর দেব।' একইসঙ্গে তোপ দাগেন রাজ্য সরকারের উদ্দেশে। রাজ্য সরকারের কাজে 'ঢিলেমি' আছে, কিন্তু তিনি যেকোনও ইস্যুতে 'দুরন্ত' কাজ পছন্দ করেন বলে জানান।