নিজস্ব প্রতিবেদন: আর একবার রাজ্যপাল এবং রাজ্যসরকারের সংঘাত প্রকাশ্যে। রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সেভাবে সাড়া দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন জগদীপ ধনখড়। এমনটা জানা গিয়েছে রাজ্যপালকে দেওয়া খোদ মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিতেই। তাঁর বৈঠকে যাতে উপাচার্যরা যোগ দেন সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। না হলে গোটা দেশে ভুল বার্তা পৌঁছবে বলে জানান তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, উপাচার্যরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বাধীন ভাবে কাজ করে। শিক্ষা দফতরের তত্ত্ববধানে গোটা পরিকাঠামো পরিচালিত হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, উচ্চ শিক্ষা দফতর এবং সচিবের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন রাজ্যপাল।  


মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠির পরই টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থেই উপাচার্যদের বৈঠকে যোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন রাজ্যপাল। ‘রাজনৈতিক খাঁচায়’ শিক্ষা বন্দি হলে ধ্বংসাত্মক এবং আত্মঘাতী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।



আরও পড়ুন- সুশান্তের মৃত্য়ুর তদন্ত করুক সিবিআই, মোমবাতি জ্বালিয়ে মার্কিন মুলুকে প্রতিবাদ অনুগামীদের


উল্লেখ্য, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মঞ্জুরি কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়েই উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। বুধবারের এই বৈঠকে অধিকাংশ উপাচার্য উপস্থিত থাকবে না বলে জানা যাচ্ছিল। রাজ্যের তরফে ইউজিসির এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আবহে ইউজিসি-র নির্দেশিকা মেনে পরীক্ষা নেওয়া কার্যত অসম্ভব বলে জানিয়ে দেন তিনি। এই নির্দেশিকা প্রধানমন্ত্রীকে পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে রাজ্যপাল এবং রাজ্যসরকারের সংঘাত ক্রমবর্ধমান।