মমতার কন্যাশ্রীকে কম নম্বর, মোদীর বেটি বাঁচাওকে বেশি গুরুত্ব রাজ্যপালের
কন্যাভ্রূণ হত্যা রুখে নারী-পুরুষের লিঙ্গ ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যেই বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্পের সূচনা করে মোদী সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যপালের মন্তব্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হল কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে। শুক্রবার রাজ্যের 'কন্যাশ্রী' প্রকল্পের থেকে কেন্দ্রের 'বেটি বাঁচাও বেটি পঢ়াও' প্রকল্প এগিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। আর তাতেই রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের আগুনে নতুন করে ঘি পড়েছে।
রাজ্যপাল এদিন বলেন, "কন্যাশ্রী একটি সীমিত আর্থিক প্রকল্প। বেটি বাঁচাও, বেটি পঢ়াও প্রকল্পের সামাজিক গুরুত্ব অনেক বেশি। বেটি বাঁচাও প্রকল্পের ব্যাপ্তিও বেশি।" রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁর সমালোচনা করেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুরমন্ত্রী বলেন, "মোদীর প্রকল্পে প্রচার ছাড়া রাজ্যপালের আর কিছুই নেই। চাকরি বাঁচাতে স্তাবকতা করছেন রাজ্যপাল। গোটা বিশ্ব কন্যাশ্রীকে স্বীকৃতি দিয়েছে।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কন্যাভ্রূণ হত্যা রুখে নারী-পুরুষের লিঙ্গ ভারসাম্য রক্ষার উদ্দেশ্যেই বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও প্রকল্পের সূচনা করে মোদী সরকার। ২০১৫ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, প্রতি হাজার জন পুরুষে দেশে নারীর সংখ্যা ৯৪৩। অন্যদিকে, কন্যাসন্তানদের উচ্চশিক্ষার অধিকার সুনিশ্চিত করতেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের রূপায়ণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে 'আয়না দেখে মুখ পরিষ্কারের' পরামর্শ রাজ্যপালের
দিনকয়েক আগেই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজের অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রীর সেই অভিযোগের কড়া ভাষায় জবাবও দেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। এরপর আজ কন্যাশ্রী ও বেটি বাঁচাও ঘিরে ফের মাথাচাড়া দিল বিতর্ক।