নিজস্ব প্রতিবেদন : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ উপাচার্যের পদত্যাগ ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়েছেন, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চাইলে, অবশ্যই তিনি তাঁদের কথা শুনবেন। কোনওকিছু-ই জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়ে কলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবেশিকা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থির হয়, ৫০-৫০ অনুপাতে ফিরবে প্রবেশিকা। অর্থাত্, চূড়ান্ত মেধাতালিকা তৈরি হবে বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ ও প্রবেশিকায় প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে। কিন্তু কর্মসমিতির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি ও সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ যে সহমত নন, মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই সাফ জানিয়ে দেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।


এরপরই জল্পনা ছড়ায় বুধবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য। যদিও এখনও পর্যন্ত দুজনের কেউ-ই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাননি বলে রাজভবন সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন, পদত্যাগ করছেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ


উল্লেখ্য, কর্তৃপক্ষের প্রবেশিকা রদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার অনশন আন্দোলন চালায় তারা। পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষামন্ত্রী ও রাজ্যপালের সঙ্গে দফায় দফায় সাক্ষাত করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। 'অগণতান্ত্রিক চাপে কাজ করা অসম্ভব' জানিয়ে রাজ্যপালের কাছে তখনই পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি সেই মুহূর্তে তাঁকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছিলেন।