নিজস্ব প্রতিবেদন : বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থার ঘটনায় এখনও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে 'উদ্ধারে' বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় হেনস্থার খবর পেতেই উপাচার্যকে ফোন করেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এভাবে আটকে রাখা যায় না। প্রয়োজনে উপাচার্যকে পুলিসি সাহায্য নেওয়ার কথা বলেন তিনি। কিন্তু রাজ্যপালের পুলিসি সাহায্যের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন উপাচার্য। ক্যাম্পাসে পুলিস ডাকলে পরিস্থিতি আরও আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে বলে জানান তিনি। এরপরই মুখ্যসচিবকে ফোন করেন রাজ্যপাল। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবিভিপি। সেই অনুষ্ঠানেই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে যোগ দিতে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পা দেওয়া মাত্রই উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধী গোষ্ঠীর একদল পড়ুয়া তাঁকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীর বেষ্টনী ভেঙে কার্যত বাবুলের উপর চড়াও হয়। ধাক্কাধাক্কিতে পড়েও যান বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর জামা ছিঁড়ে যায়। বাবুল সুপ্রিয় অভিযোগ করেছেন, তাঁর গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। চুলের মুঠি ধরে মারা হয়েছে। চশমা কেড়ে নিয়েছে পড়ুয়ারা।


পড়ুয়াদের হাতে বাবুল সুপ্রিয় নিগৃহীত হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে চলে আসেন উপাচার্য। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আসনে নামেন তিনি। বাবুলকে নিয়ে অডিটোরিয়ামের ভিতর ঢুকে যান। কিন্তু এরপর অডিটোরিয়াম থেকে বেরনোর সময় ফের বাবুলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ার দল। পড়ুয়াদের হাতে এভাবে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বাবুল সুপ্রিয়।


আরও পড়ুন, বাবুলকে শারীরিক হেনস্থার সমর্থন করি না: সুজন চক্রবর্তী


তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে উপাচার্যের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান বাবুল। সুরঞ্জন দাসকে বাবুল বলেন, "আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? আমি যখন এলাম, তখন আপনি আসেননি কেন? আপনি এলে এটা ঘটত না। আমাকে যখন নিগ্রহ করা হয়েছে, তখন আপনি আপনার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনি চাইছিলেন এটা হোক।" কথা কাটাকাটির সময় উত্তেজিত বাবুলের সামনে হাতজোড় করে অনুরোধ করতেও দেখা যায় উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে।