`পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যের সম্পদ, তাঁদের করোনা সংক্রমণকারী অ্যাখ্যা দেওয়া দুঃখজনক`
ফের মমতা প্রশাসনকে ঠুকে টুইট করলেন রাজ্যপাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘের ফেরা নিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর কথায়, পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যের সম্পদ, তাঁরা ফেলনা নন। ঘরে ফিরে আসলে তাঁদের উষ্ণ আমন্ত্রণ প্রাপ্য, করোনা সংক্রমণকারী হিসাবে দেগে দেওয়া অন্যায় আর অত্যন্ত হতাশাজনকও বটে। ফের মমতা প্রশাসনকে ঠুকে টুইট করলেন রাজ্যপাল।
তিনি বলেন, "যে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে আসছেন, তাঁরা আমাদের আপনজন। তাঁরা পেটের দায়ে রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ওঁরা আমাদের সম্পদ, কেউ ফেলনা নন।"
মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন. "মানবিক মূল্যবোধ অটুট রেখেও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মাবলী এবং নির্দেশ মেনে চলা যায়।"
"না জানিয়েই ট্রেন পাঠাচ্ছে", ক্যাবিনেট সচিব বৈঠকে রেল নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ রাজ্যের
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে আচমকাই বেড়ে গিয়েছে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর পিছনে কি মুখ্য কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা? বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই মনে করছেন। বিষয়টি ভাবাচ্ছে কেন্দ্র সরকারকেও। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেসব কথা মাথায় রেখেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকা
এই নির্দেশিকায় মূলত পাঁচটি রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে যে সব শ্রমিকরা বাংলায় ফিরবেন, তাঁদের অবশ্যভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
বাকি রাজ্যগুলি থেকে যাঁরা ফিরবেন, তাঁদের পরীক্ষার পর যদি কোনও উপসর্গ ধরা না পড়ে, তাহলে তাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনেই থাকতে পারবেন।
কেন এই পাঁচ রাজ্যের ওপর বিশেষ জোর?
পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এই পাঁচ রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে।
সেসব কথা চিন্তা করেই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষ পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও বার করা হয়। তারপরই রাজ্যপালের এই টুইট যথেষ্টই তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।