রাজ্যপালকে দেখতে হল কালো পতাকা। উপাচার্য শুনলেন গো-ব্যাক। স্টেজে উঠেও মেডেল-শংসাপত্র নিলেন না ছাত্রছাত্রীরা। সমাবর্তন ঘিরে এমনই নজিরবিহীন ছবি দেখল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মঞ্চে হল বয়কট। বাইরে চলল কলরব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিক্ষোভ হবে। আশঙ্কা ছিলই। তবে এই মাত্রায়! সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চও দেখল এমন ছবি, যা এককথায় নজিরবিহীন। গীতশ্রী সরকার, গোল্ড মেডালিস্ট এই ছাত্রী স্টেজে উঠলেন ঠিকই। তবে মেডেল নেননি। সমাবর্তন অনুষ্ঠান বয়কট করলেন স্টেজে দাঁড়িয়ে। কিছুক্ষণ পর ফের এক ছবি। শুধু প্রতিবাদী মুখ আলাদা। গীতশ্রীর দেখানো পথে সার্টিফিকেট না নিয়ে মঞ্চ ছাড়েন কয়েকজন পিএইচডি প্রাপক।  


মোট ৫ জন গোল্ড মেডালিস্টের তিনজন এদিন মঞ্চে ওঠেননি। তবে আগাগোড়া ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। গলা মিলিয়েছেন উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতেও। এমন পডুয়ারাও ছিলেন, যাঁরা সার্টিফিকেট নিয়েছেন। তবে তা কি মন থেকে? এমন বিক্ষোভে স্তম্ভিত হয়ে যান রাজ্যপালও। পড়েন চরম অস্বস্তিতে। একসময় স্টেজেই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে, ক্ষমা মহান ধর্ম। ছাত্রছাত্রী-অধ্যাপকদের দায়িত্ব-কর্তব্যের শিক্ষা দিয়েছেন রাজ্যপাল।


সকাল থেকেই এদিন পুলিসে ছয়লাপ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দিষ্ট কার্ড না দেখিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি কাউকে। প্রবেশাধিকার পাননি অভিভাবকরাও। তবু কি ঠেকানো গেল বিক্ষোভ? লুকনো গেল অস্বস্তি!!! সমাবর্তনের মাঝপথে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ঘরমুখো হতে হল উপাচার্যকে। কী কারণে?