ব্যুরো:একসময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল জামদানি শাড়ি। সুক্ষ সুতোর বুননে চোখ ধাঁধানো শাড়ি তৈরিতে সময় লাগে বিস্তর। কিন্তু সেই অনুপাতে তাঁতিদের রোজগার ছিল অনেক কম। আর তাই,  নানান অসুবিধার জেরে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিল জামদানি। সেই জামদানিই ফের আম জনতার দরবারে। সৌজন্যে বিশ্ব বাংলা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জেলা-নদিয়া


চন্দ্রপুরের অন্তর্গত নাকাশিপাড়া, বীরপুর, হাবিবপুর


এই এলাকার আসরুফা, বিমল, সুভাষদের নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। সকাল থেকে রাত। বিরামহীন কাজ। সুক্ষ সুতোর কাজে একের পর এক শাড়িতে ফুটে উঠছে রংবাহারি নকশা। বোনা হচ্ছে জামদানি শাড়ি।


একসময় ৪০ জন তাঁতি জামদানি তৈরির কাজ করতেন। কিন্তু একটা শাড়ি তৈরি করতে সময় লাগে প্রায় তিন থেকে চার মাস। শাড়ি তুলে দিতেন মহাজনের হাতে।
২০১৪-এর শেষ থেকে বিশ্ববাংলার সঙ্গে কাজ শুরু করেন তাঁরা। এই কাজে যুক্ত হন প্রায় দেড় হাজার মানুষ। প্রায় তিনশোটি পরিবার। এর ফলে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আয় বেড়েছে বলেই জানাচ্ছেন জামদানি বোনার কাজে যুক্ত তাঁতিরা।


এতো গেল জামদানি বোনার কাজে যুক্ত তাঁতিতের কথা। কিন্তু জামদানি বোনার আগেও তো বিস্তর কাজ থাকে। সুতোয় রং করা, মাকু বানানো..আরও কত কী। এই বিভিন্ন কাজে যুক্ত রয়েছেন আরও ২৭০ জন। ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু । আর এখন ব্যবসার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। বিশ্ব বাংলার জন্য জামদানির মান বেড়েছে অনেকটাই। সেকারণে গুজরাটের পটোলা শাড়ির সঙ্গেও তুলনা করা হচ্ছে আমাদের এই বাংলার জামদানিকে। বিশ্ব বাংলার স্টল গুলিতে অন্য আর পাচটা জিনিসের পাশাপাশি জামদানির চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।