ওয়েব ডেস্ক: মৎস্য মারিব, খাইব সুখে। এই প্রবাদটা বোধহয় মাছে -ভাতে বাঙালির অজানা নয়।  নদী-নালা-পুকুরের অভাব নেই এরাজ্যে। আর তাই বাঙালির পাতে মাছের টুকরোও রোজকারের বিষয়। মাছ চাষে এগিয়ে রয়েছে এরাজ্য। কিন্তু মৎস্য চাষকে আরও জনপ্রিয় করতে এবং মাছ চাষীদের জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাছ চাষ থেকে মাছের বাণিজ্যিকিকরণ। মীন সংরক্ষণ থেকে রূপালি শস্য নিয়ে গবেষণা। এমন নানান বিষয়ে উদ্যোগী রাজ্য। সম্প্রতি রাজ্য সরকার প্রকাশিত একটি বইয়ে মাছ চাষ বিষয়ে বেশকিছু তথ্য রয়েছে। মাছ চাষ থেকে শুরু করে মত্স্যজীবীদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ রয়েছে বইয়ে।


মাছ চাষের জন্য প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার। আর তাই মাছচাষীদের উত্সাহ দিতে  ৮৭৪১. ৯৪ টন মাছের খাবার  বিনামূল্যে দিয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী , এর ফলে উপকৃত হয়েছেন প্রায় তেরো হাজার মাছ চাষী। রাজ্যের এমন  উদ্যোগে খুশি মাছ চাষীরা। জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে ২৩০০০ পুকুরকে।  


রাজ্যের উদ্যোগে ইলিশ মাছের সংরক্ষণ এবং গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে সুলতানপুরে। এর পাশাপাশি মাছ বিক্রির ক্ষেত্রেও সরকারি উদ্যোগ রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মোবাইল ভ্যানে মাছ বিক্রির ব্যবস্থা হয়েছে। এনডিএফবির সহায়তায় মত্স্যজীবীদের তৈরি সমবায় সমিতির মাধ্যমে এই কাজ চলছে। এই উদ্যোগের ফলে উপকৃত হয়েছে দশটি সমবায় সমিতি। মত্স্যজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে রাজ্য সরকার। সচেতনতা শিবির এবং জলাভূমি দিবস, মত্স্যজীবী দিবস এবং বিভিন্ন মেলায় প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে চলছে প্রশিক্ষণ। পাচ কাঠার বেশি পুকুরকে উপগ্রহ থেকে তোলা ছবির মাধ্যমে চিহ্নিত করার কাজ শেষ হয়েছে।


স্থানীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। খাল, বিল, পুকুরে স্থানীয় প্রজাতির মাছ ছাড়ার চেষ্টা হয়েছে। সেইসমস্ত পুকুর বিল বা খালে মাছের চারা, মাছের খাবার চুন এবং অন্যান্য জিনিস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সমুদ্রে যারা মাছ ধরতে যান সেইসব মত্স্যজীবীদের নিরাপত্তার জন্যও বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার উল্লেখ রয়েছে রাজ্য সরকার প্রকাশিত বইয়ে।


বায়োমেট্রিক  কার্ড
ইতিমধ্যেই সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া এক লক্ষ আটত্রিশ হাজার মত্স্যজীবীর জন্য এমন কার্ড দেওয়া হয়েছে।


ডিসট্রেস অ্যালার্ট  ট্রান্সমিটার
ইতিমধ্যেই এক হাজার ট্রান্সমিটার দেওয়া হয়েছে। আরও দেড় হাজার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


মাছ ধরার ভেসেলের ই রেজিস্ট্রেশন
মত্স্য দফতরের উদ্যোগে  উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মাছ ধরার ভেসেলের ই রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে এগারো হাজার চারশো  নটি সার্টিফিকেট ।
এগুলি ছাড়াও আরও বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেই দাবি রাজ্যের। এর ফলে মাছ চাষে আগ্রহ যেমন বাড়বে পাশাপাশি উপকৃত হবেন মাছচাষীরাও। এমনই দাবি রাজ্যের।