ব্যুরো:মহিলাদের ওপর অপরাধের ঘটনা বাড়ছে দেশজুড়ে। প্রায় প্রতিদিনই এমন ঘটনা সামনে আসছে আকছার। এরাজ্যেও মহিলাদের ওপর অপরাধের ঘটনা দিনদিন বাড়ছে বলে ঝড় তুলছেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, নিরাপদ নয় এশহরও। তবে বিরোধীদের দাবি উড়িয়েছে  রাজ্য সরকার।  ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্ট উল্লেখ করে রাজ্যের দাবি, মহিলাদের ওপর অপরাধের ঘটনায় সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কলকাতায় মহিলাদের ওপর অপরাধের ঘটনা সবথেকে কম। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর রিপোর্টে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার প্রকাশিত একটি বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে এমনই তথ্য।


শুধু তাই নয়, তথ্য অনুযায়ী, মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা, ডাকাতি, খুন বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য পয়ষট্টিটি মহিলা থানার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গত চারবছরে তিরিশটি মহিলা থানা হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এবং আরও ১০ টি মহিলা থানা তৈরির অপেক্ষায়। পাচার আটকাতে প্রত্যেকটি জেলায় তৈরি হয়েছে অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিট এবং স্পেশাল জুভেনাইল পুলিস ইউনিট।


১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯০০ সিভিক ভলান্টিয়ারস এবং ৩ হাজার ৩৫১ জন গ্রাম পুলিস যুক্ত হয়েছেন গত চার বছরে..


এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, গত চার বছরে ৮৯টি নতুন থানার তালিকা....


কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত--২১
মহিলা থানা--৩০
থানা-১৯
বন্দর এলাকার থানা-৮
সাইবার থানা-৫
জিআরপি থানা-২
পুলিস আউটপোস্ট-৪


ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আরও উন্নত করে তুলতে কলকাতা পুলিসের অন্তর্গত এগারোটি ট্রাফিক গার্ড তৈরি হয়েছে। শহরের২৪৮ টি জায়গায় সাতশোটি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এবং ভিড় সামলানোর জন্য দুর্দান্ত নামে একটি স্বয়ংক্রিয় গাড়িরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।   


তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য পুলিসের অন্তর্গত নতুন পাচটি পুলিস কমিশনারেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হাওড়া, বিধাননগর, আসানসোল-দুর্গাপুর, বারাকপুর এবং শিলিগুড়ি। এছাড়াও ৩২টি নতুন মডেল পুলিস থানার বাড়ি তৈরিরও অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে শুধু এমন তথ্যই নয়, রাজ্য সরকার প্রকাশিত বইয়ে পুলিসকর্মীদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পেরও উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিসকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য গ্রুপ মেডিক্যাল ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে ইতিমধ্যেই আটান্ন হাজার ছশো চৌষট্টি জন পুলিসকর্মী তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এছাড়াও খুব সামান্য খরচে হোমগার্ড, এনভিএফ, গ্রাম পুলিস এবং অস্থায়ী কর্মীদের জন্য মেডিক্যাল এবং দুর্ঘটনাজনিত বিমারও ব্যবস্থা হয়েছে এমন তথ্যের উল্লেখ রয়েছে রাজ্য সরকার প্রকাশিত বইয়ে।


শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজেও যুক্ত হচ্ছেন পুলিসকর্মীরা। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে বেশকিছু উদ্যোগ। জঙ্গলমহল কাপ, সুন্দরবন কাপ, হিমালয়-তরাই-ডুয়ার্স কাপের মত ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হচ্ছে নিয়মিত, যাতে পুলিসের সঙ্গে স্থানীয় মানুষের নিবিড় জনসংযোগ তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি আরও বেশকিছু বিষয়ের ওপরেও নজর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি। যাতে আইন-শৃঙ্খলার আরও উন্নতি করা যায়।