Electricity Bill: গ্রাহকদের এবার প্রতিমাসে বিল পাঠাবে বিদ্যুৎ দফতর!
কলকাতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সিইএসসি। প্রতি মাসে বিলও মিটিয়ে দিতে হয় গ্রাহকদের। কিন্তু রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের আওতায় থাকা এলাকায় তিন মাস অন্তর বিল পাঠানো হয়।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: ৩ মাস অন্তর নয়, এবার বিল আসবে প্রতি মাসেই? সমীক্ষা শুরু করল রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর। বিধানসভায় বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানালেন, নিউটাউনে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি মাসে গ্রাহকদের বিল পাঠানো হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে কলকাতা পুর এলাকায়ও।
কলকাতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সিইএসসি। প্রতি মাসে বিলও মিটিয়ে দিতে হয় গ্রাহকদের। তাহলে রাজ্য বিদ্য়ুৎ দফতরের আওতায় থাকা এলাকায় কেন আলাদা নিয়ম? কেন ৩ মাস অন্তর বিল আসে? কলকাতার মতোই রাজ্যের সর্বত্র মাসিক বিল চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। গ্রাহকদের একাংশের বক্তব্য, তিন মাস অন্তর বিল আসার কারণে বাড়তি টাকা দিতে হয়। এমনকী, ইউনিট প্রতি দাম নাকিও বেশি পড়ে! বস্তুত, কলকাতা পুরসভার এলাকার ৪ ওয়ার্ড রাজ্য বিদ্য়ুৎ দফতরের আওতায়। ৩ মাস অন্তর বিল পান সেখানকার বাসিন্দারাও। অবশেষে সেই ব্যবস্থা বদলের ইঙ্গিত দিলেন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এদিন বিধানসভায় বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, 'গ্রাহক, জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ভিন্নমত পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে'। স্রেফ তিন মাস অন্তর বিল নয়, রাজ্য় বিদ্যুৎ দফতরে আওতায় থাকা এলাকায় লো-ভোল্টেজের কারণেও সমস্য়ায় পড়তে হয় গ্রাহকদের। সেই সমস্য়া দ্রুত মিটিয়ে ফেলার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। জানিয়েছেন, 'রাজ্যের ৩২৫টি ব্লকে ইতিমধ্য়েই লো-ভোল্টেজের সমস্য়া মিটিয়েছে। বাকি ২৫ ব্লকে কাজ চলছে'।
এদিকে রাজ্যের দুই বিদ্যুৎ সংস্থার ২৩ হাজার কর্মীর বকেয়া DA-র পাঁচ ভাগের এক ভাগ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানিয়েছেন, 'প্রথম ধাপের টাকা না দিলে, কর্তাদের বেতন বন্ধের কথা ভাববে কোর্ট'। বস্তুত, ডিএ মামলায় রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যও। মুখ্যসচিবকে ৩ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় হারে কর্মীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে ফেলার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। এরপর যখন হাইকোর্টে মামলা করে সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি, তখন স্যাটের নির্দেশই বহাল রাখে আদালত।