ওয়েব ডেস্ক: অমল দত্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর। ফুটবল বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আজ রবীন্দ্রসদনে শ্রদ্ধার্ঘের পর প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গতরাতে টুইটেও শোকবার্তা জানিয়েছেন তিনি। পরিবার ও পরিজনদের সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে এই প্রবাদ প্রতিম ফুটবল ব্যক্তিত্বের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চলে গেলেন অমল দত্ত। রেখে গেলেন অনেক স্মৃতি। ডায়মন্ড কোচের প্রয়াণে শেষ হয়ে গেল ভারতীয় ফুটবলের এক অধ্যায়ের। রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অমল দত্ত। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। এসিয়ান গেমসে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।



তবে অমল দত্ত মনে থাকবে কোচ হিসাবেই। ভারতীয় ফুটবল কোচিংয়ে নতুন ব্যাকরণ এনেছিলেন অমল দত্ত। পাঁচের দশকে সন্তোষ ট্রফি খেলার আগেই দেশের হয়ে খেলে নজির গড়েছিলেন তিনি। খেলেতে খেলতে কোচিংয়ে আসা তাঁর। কোচিং শেখার লক্ষ্যে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন অমল দত্ত। আর্থিক প্রতিবন্ধকতায় একটা সময় থমকে যেতে বসেছিল তার বিদেশ যাওয়া। শেষ পর্যন্ত পাশে এসে দাঁড়ান তাঁর স্ত্রী।


ভারতের ফুটবলওয়ালার বিদায়


বিদেশ থেকে ফিরেই পুরোদমে কোচিং শুরু। তাঁর প্রথম বড় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। উনিশশো তেষট্টি সালে মরসুমের মাঝপথে লাল-হলুদের দায়িত্ব নেন। ধুঁকতে থাকা ইস্টবেঙ্গল অমল দত্তের কোচিংয়ে যেন জেগে ওঠে। বড়ম্যাচও জিতে নেয় তারা। উনিশশো উনসত্তরে মোহনবাগান। অমল দত্তের হাত ধরে দ্বিমুকুট জেতে সবুজ-মেরুন। তারপর ময়দানের তিন প্রধানে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কোচিং করান তিনি। উনিশশো সাতানব্বই সালে মোহনবাগানে ডায়মন্ড সিস্টেম নিয়ে আসেন অমল দত্ত। ময়দানে যেন জোয়ার আসে।


নয়ের দশকের মাঝামাঝি পিকে ব্যানার্জি আর অমল দত্তের কোচিং ফর্মুলা এখনও চর্চার শীর্ষে। সেবছরই ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে পিকে-র ইস্টবেঙ্গলের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে অমল দত্তের ডায়মন্ড সিস্টেম। যদিও সেবছরই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। স্বল্প সময়ের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন। জাতীয় দলের কোচ হিসাবে জিতেছিলেন সাফ কাপও।


দ্রোণাচার্য পুরস্কার তিনি পাননি। তবে অনেক ফুটবলারের কাছে তিনি ছিলেন দ্রোণাচার্য। অনেক কিছুই তাঁর পাওয়ার ছিল। কিন্তু তিনি পাননি। ব্রাত্যই থেকে গেছেন। বলাই যায় অমল দত্তের প্রয়াণের সাথে ভারতীয় ফুটবলে শেষ হয়ে গেল এক অধ্যায়ের।