এম পি বিড়লা কাণ্ডে খোঁজ `গণেশ আঙ্কলের`, সিবিআই তদন্ত চাইলেন অভিভাবকরা
এম পি বিড়লা কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের মধ্যে কোনও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। স্কুলে ৯০টি সিসিটিভি রয়েছে। কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে, তা সিসিটিভিতে নিশ্চয়ই ধরা পড়ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন : এমপি বিড়লা স্কুলে সাড়ে তিন বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের একাংশ। তাদের অভিযোগ, অপরাধীকে আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিসের তদন্তের উপর তাদের কোনও ভরসা নেই।
অন্যদিকে, এম পি বিড়লায় শিশুর যৌন নিগ্রহের ঘটনায় পিওন মনোজ মান্নার গ্রেফতারির পর এবার স্ক্যানারে 'গণেশ আঙ্কল'। পুলিসের কাছে জবানবন্দিতে বারবারই 'গণেশ আঙ্কল'-এর কথা বলে নির্যাতিতা শিশু। যদিও এম পি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, গণেশ তাদের স্কুলের কেউ নয়। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই দাবি মানতে নারাজ অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, গণেশ স্কুলেরই কর্মী। শিশুকে আনা-নেওয়ার কাজ করত গণেশ। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সামনে আসার পরই গণেশকে ছাঁটাই করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, চক্রান্ত করছে পুলিশ, জিডি বিড়লা কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার
প্রসঙ্গত, জিডি বিড়লার পর শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ঘিরে সোমবার থেকে উত্তপ্ত এমপি বিড়লা। সোমবার দিনভর স্কুলে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। বিক্ষোভের মুখে চাপে পড়ে প্রথমে সাসপেন্ড পরে বরখাস্ত করা হয় অভিযুক্ত স্কুল পিওন মনোজ মান্নাকে। কিন্তু অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে অনড় থাকেন অভিভাবকরা। এরপর রাতে বেহালা থেকে গ্রেফতার করা হয় শিশু নির্যাতনে মূল অভিযুক্ত মনোজ মান্নাকে।
যদিও এখনও এম পি বিড়লা স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের দাবিতে অনড়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের মধ্যে কোনও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। স্কুলে ৯০টি সিসিটিভি রয়েছে। কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে, তা সিসিটিভিতে নিশ্চয়ই ধরা পড়ত।
আরও পড়ুন, নারকীয় ঘটনার সাক্ষী দিল্লি, ক্লাস টু'য়ের শিশুকে ধর্ষণ ক্লাস ফাইভের ছাত্রের
এদিকে, বিক্ষোভ ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত এম পি বিড়লার অভিভাবকরা। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, আন্দোলেনর ফলে শিশুদের পঠনপাঠনের ক্ষতি হচ্ছে। যদিও আন্দোলনকারী অভিভাবকদের সাফ বক্তব্য, স্কুলে শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এই আন্দোলন। স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁদের এই আন্দোলনের পাশে রয়েছেন।