নিজস্ব প্রতিবেদন: জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনায় মৃত দেখিয়ে রেলে চাকরি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল জোড়াবাগানের বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই-র আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১০ সালে ২৮ মে জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অমৃতাভ চৌধুরীর (Amritava Chowdhury)। ডিএনএ সনাক্তকরণের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় দেহ। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০১১ সালে রেলে চাকরি পান তাঁর বিবাহিত বোন মহুয়া পাঠক।  কিন্তু সেই অমৃতাভর মৃত্যু হয়নি। সন্দেহ হওয়ায় বিভাগীয় তদন্ত করে দক্ষিণ পূর্ব রেল। তার পর সিবিআই-র কাছে অভিযোগ করেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত প্রশাসিক বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার। 


জানা গিয়েছে, সেদিন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি অমৃতাভ চৌধুরীর (Amritava Chowdhury)। তিনি বেঁচে আছেন। সরকারি অফিসারদের সঙ্গে আঁতাঁতে যোগসাজশ করে তাঁর ডিএনএ মেলানো হয়েছিল। এমনকি বিমা সংস্থার এজেন্ট জড়িত এই চক্রান্তে। মৃত দেখিয়ে জীবনবিমার টাকাও হাতিয়ে নিয়েছেন অমৃতাভ। এমনকি ছেলের মৃত্যু দেখিয়ে সরকারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন অমৃতাভর বাবা মিহির ও মা অর্চনা। এই জালিয়াতির ঘটনায় অমৃতাভ, মিহির, অর্চনা, মহুয়া পাঠক এবং অজ্ঞাতপরিচয় সরকারি ও বেসরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় দায়ের হয়েছে মামলা। 



শুক্রবার জোড়াবাগানের বাড়ি থেকে অমৃতাভকে আটক করেছে সিবিআই (CBI)। জেরায় তিনি জানিয়েছেন, মৃত ব্যক্তি আর তিনি এক নন। বাবা স্বীকার করেছেন, ধৃত ব্যক্তিই তাঁর ছেলে। অমৃতাভর পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করবে সিবিআই।             


আরও পড়ুন- মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট কবে? Zee ২৪ ঘণ্টায় জানালেন পর্ষদ ও সংসদের সভাপতিরা


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)