Bank Fraud: রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে চলছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন গোয়েন্দা প্রধান
Bank Fraud: জালিয়াতি ঠেকাতে কী করবেন আর কী করবেন না তা গতকালই জানিয়েছে কলকাতা পুলিস। এনিয়ে আজ আরও বিস্তারিত জানালেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী
রণয় তেওয়ারি: ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট থেকে স্রেফ উবে যাচ্ছে জমানো টাকা। কোনও ক্ষেত্রে এসএমএস আসছে, কোনও ক্ষেত্রে আসছে না। কীভাবে, কোথা থেকে ওই জালিয়াতি হচ্ছে তা বলতেই পারছে না ব্যাঙ্ক। পুলিস অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিচ্ছে। অথচ টাকা যারা হারাচ্ছেন তাদের সমস্যার কোনও সমাধান হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে না। ব্যাঙ্ক বলছে এটা হল এইপিএস অর্থাত্ আধার এনাবলড পেমেন্ট সিস্টেম ফ্রড। এনিয়ে এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রাধান শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে হইহই করে সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল, মঙ্গলবার বড় চমক
ওই ধরনের জালিয়াতি ঠেকাতে কী করবেন আর কী করবেন না তা গতকালই জানিয়েছে কলকাতা পুলিস। এনিয়ে আজ আরও বিস্তারিত জানালেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান শঙ্খশুভ্র চক্রবর্তী। এদিন আলিপুরে গোয়েন্দাপ্রাধান বলেন, এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ৬৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কিছু জিডি হয়েছে। কারও ১০ হাজার টাকা চলে গিয়েছে। তিনি হয়তো গুরুত্ব দিচ্ছেন। এনিয়ে ব্যাঙ্ক ফ্রড সেকশন তদন্ত করছে। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ওই জালিয়াতি করছে জালিয়াতরা। যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা। ওড়িশার একটি এলাকা থেকেও এই কাণ্ড হচ্ছে।
অন্যদিকে, পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, কলকাতা পুলিসের সাইবার সেলের মাধ্যম-সহ বিভিন্ন উপায়ে প্রচার করা হচ্ছে এরকম পরিস্থিতিতে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। যা করতে হবে তা হল-
এম আধার অ্যাপ্লিকেশানটি ডাউনলোড করে বায়োমেট্রিক্স লক করা।
যখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করা।
বন্ধু অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট করতে পারেন।
কলকাতা পুলিসের ওয়েব সাইটে গিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন।
থানা, কিংবা সাইবার সেলে গিয়েও রিপোর্ট করতে পারেন।
যখনই দেখবেন আপনার টাকা কেটে নিয়েছে, তখনই সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করতে পারেন।
ব্যাংক গুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।