নিজস্ব প্রতিবেদন : রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া হরিদেবপুরে। মৃত স্বামীর চার-পাঁচ দিনের পচা গলা দেহ আগলে বসে রইলেন স্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করলে, দরজা ভেঙে দেখা যায় মৃত স্বামীর দেহ আগলে বসে রয়েছেন হাসিরানি দেবী। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হরিদেবপুরের শিখাকুঠি ফ্ল্যাটে থাকতেন ৮২ বছরের অমরকুমার স্যানাল ও তাঁর স্ত্রী হাসিরানি দেবী। বন্দরে চাকরি করতেন অমর স্যানাল। পাড়ায় ধার্মিক, ভালোমানুষ হিসেবেই তাঁর পরিচিত ছিল। তবে পাড়ায় খুব বেশিও মেলামেশা ছিল না। নিঃসন্তান ছিলেন স্যানাল দম্পতি।


আরও পড়ুন, সুন্দরবনে জালে 'দৈত্যাকৃতি' মাছ, দেখুন ভিডিও


প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত চার-পাঁচদিন ধরেই পাড়ায় অমরবাবুকে দেখা যায়নি। বাড়ির সামনে খবরের কাগজ জমছিল। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। যারপরই স্যানাল দম্পতির বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি।


সাড়া না মেলায় হরিদেবপুর থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। পুলিস এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে মৃত স্বামীর দেহ আঁকড়ে বসে আছেন হাসিরানী দেবী। পুলিসকে দেখে খানিকটা বিরক্তিও প্রকাশ করেন হাসিরানী দেবী। কোনওক্রমে তাঁর থেকে দেহ ছাড়িয়ে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়।


আরও পড়ুন, পলাতক প্রেমিক, স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর


প্রাথমিকভাবে অনুমান, চার-পাঁচদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধার। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহ কালো বর্ণ ধারণ করেছিল। প্রতিবেশীদের দাবি, হাসিরানি দেবীর মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাঁকে খুব বেশি বাড়ির বাইরে দেখা যেত না।