নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে জোরদার প্রচার চলছে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ'-এর। ট্রাফিক আইন মেনে চলে জীবন সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। প্রত্যেক গাড়িতে 'সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ'-এর স্টিকার লাগানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি। শুক্রবার সকালে বাগুইআটির ঘটনা তারই প্রমাণ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার সকালে অফিস টাইম। ভিড়ে ঠাসা দুটি বাস। একটি ৭৯ডি রুটের বেসরকারি বাস। অন্যটি বিরাটি-বিবাদী বাগ রুটের মিনিবাস। যাত্রীদের অভিযোগ, দমদম পার্ক থেকেই রেষারেষি করছিল বাস দুটি। একে অন্যকে টেক্কা দেওয়ার খেলায় মেতে উঠেছিল। বাগুইআটির কাছে এসে ৭৯ডি রুটের বাসটি ফের মিনিবাসটিকে ওভারটেক করে।


আরও পড়ুন, ১১টি প্রশ্নের 'ভুল'কে স্বীকৃতি, হাইকোর্টের নির্দেশে প্রশ্নের মুখে ২০১৪-র প্রাইমারি টেট


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রেষারেষি করতে গিয়েই বাগুইআটির কাছে উল্টে যাচ্ছিল ৭৯ডি রুটের বাসটি। অল্পের জন্য রক্ষা পায়। এড়ানো যায় বড়সড় বিপদ। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা মিনিবাসটিকে আটক করেন। তার চালককে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। ভেঙে দেওয়া হয় মিনিবাসটির লুকিং গ্লাস।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিস। কিন্তু অভিযোগ, পুলিস অভিযুক্ত বাসচালককে আটক না করে ছেড়ে দেয়। এই ঘটনায় অফিস টাইমে উত্তেজনা ছড়ায় বাগুইআটিতে। দেখা দেয় যানজট। নাকাল হতে হয় অফিসযাত্রীদের।


আরও পড়ুন, পড়া পারেনি, গরম খুন্তির ছ্যাঁকায় ছাত্রকে 'পুড়িয়ে দিল' শিক্ষিকা


উল্লেখ্য, এর আগেও শহরে বাসে-বাসে রেষারেষির খবর শিরোনামে এসেছে। তার জেরে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও যে চালকদের কোনও হুঁশ ফেরেনি, এই ঘটনা আরও একবার তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।