তন্ময় প্রামাণিক: করোনা আক্রান্ত জ্বরে অসুস্থ রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়ে নাজেহাল। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভর্তি না হতে পেরে  অসুস্থ অবস্থাতেই আত্মীয় প্রতিবেশীদের সাহায্যে শেষমেশ বাড়ি ফিরে গেলেন রাত একটায়। সরকারি নিয়মে ভর্তি আটকে গেল ৪৫ বছরের মহিলার।
শনিবার সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত স্বাস্থ্য ভবনের ঘোষিত কোভিড হেল্পলাইনে ফোন করেও অসুস্থর ভর্তির বিষয়ে  কোন সাড়া পাওয়া গেল না। স্বাস্থ্য ভবনে বারবার ফোন করে উত্তর মিললো, এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ল্যাবরেটরি আক্রান্তের নাম স্বাস্থ্য ভবনে পাঠায়নি। তাই তাকে ভর্তির কোন ব্যবস্থা এই মুহূর্তে করা যাচ্ছে না। নাম স্বাস্থ্য ভবন এসে পৌঁছলে তারপরই কোন হাসপাতাল ভর্তি হবেন সে কথা জানানো যাবে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এমনি নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখীন এক করোনা আক্রান্ত জ্বরে ভুগছে থাকা মধ্যবয়সী মহিলা।   


বাগবাজারের বাসিন্দা ওই মহিলা প্রায় আট ঘন্টা ঘুরে বেড়ালেন ভর্তি হওয়ার আশায়। ফিরিয়ে দিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। করোনা আক্রান্ত মহিলার আত্মীয় বললেন, "নাজেহাল  হলাম সন্ধ্যে থেকে। আমার কাকিমা অসুস্থ হয়ে পড়ায় পাড়ার ডাক্তার দেখান। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো শুক্রবার বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়। শনিবার বিকেলের পর আমরা জানতে পারি আমার কাকিমা পজেটিভ। মেল করে ওই লাবেরোটরি আমাদেরকে সেটা জানিয়ে দেয়। তারপরে আমরা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভর্তির জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাই। শুরু হয় হয়রানি।"
সিঙ্গাপুর থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার পথে মাঝ সমুদ্রে জাহাজ থেকে নিখোঁজ বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার
তাঁর দাবি, মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, সরকারি নির্দেশ না থাকলে তারা ভর্তি নিতে পারবে না। তাদের কাছে এই ধরনের কোন নাম আসেনি স্বাস্থ্য ভবন থেকে। সেখান থেকে নাম নিয়ে আসতে না পারলে ভর্তি করা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য ভবনে ফোন করলে তারা জানান, বেসরকারি ল্যাবরেটরি এখনও করোনা পজেটিভ বা করোনা আক্রান্তের নাম তাদের কাছে পাঠায়নি । তাদের কাছের নাম পাঠালে তারপর তারা ফোন করে জানাবেন, কোথায় ভর্তি করতে হবে। কিছু উপায় না পেয়ে ফের বাগবাজারের বাড়িতে ফিরে যান মহিলা।