নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রকাশ্য় জনসভায় আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগীকে ফেরালে বা হেনস্থার অভিযোগে এবার বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের লাইন্সেস বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ক্নিনিকাল এস্টাবলিস্টমেন্ট আইনে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির সরকারি প্রকল্পে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক। ১০ বা তার বেশি শয্যাবিশিষ্ট প্রত্যেকটি নার্সিংহোমকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে সরকার' ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ সবচেয়ে বেশি।  কার্ড করানোর জন্য বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পে ক্যাম্পে লম্বা লাইনও চোখে পড়েছে। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও স্বাস্থ্য়সাথী কার্ড করিয়েছেন। কিন্তু এই কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে বা নার্সিংহোমে গেলে চিকিৎসা মিলবে তো? রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে হেনস্তা, এমনকী রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নার্সিংহোমে ঘুরে ঘুরে রোগীমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।


আরও পড়ুন: কোর্টকে ভালো করে বোঝান, নিয়োগ-স্থগিতাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে Partha


বেসরকারি হাসপাতালগুলির দাবি, সরকার যে রেট বেঁধে দিয়েছে, তাতে রোগীদের সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা দিতে হলে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দিতে হবে ৩০ দিন বা একমাসের মধ্যে। মাস কয়েক আগে বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সূত্রের খবর, বৈঠকে যখন হাসপাতালে পরিকাঠামো আরও উন্নত করতে বলা হয়, তখন পাল্টা নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরাও। তবে যদি রেট যদি নাও বাড়ে, সেক্ষেত্রে রোগীদের ফেরত পাঠানো যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। বস্তুত, স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যসচিব নিজে বৈঠক করেছেন। এরপর রানাঘাটে এক জনসভা থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানি রুখতে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ডে চিকিৎসা না দিলেই লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর।