নিজস্ব প্রতিবেদন: গণতন্ত্র ফুটপাতে চলে গিয়েছে। বনগাঁ পুরসভার পুলিস ও রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, পুরসভায় অনাস্থা ভোটের দিন পক্ষপাতিত্ব করেছে পুলিস। নিরপেক্ষ থাকার সাংবিধানিক শপথ রক্ষা করতে পারেনি তারা।        


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিসের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে  বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, 'বিজেপি কাউন্সিলররা কেন ওই দিন ঢুকতে পারলেন না? বিচারপতির মতে, পুলিশ ঝামেলা সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরপেক্ষ থাকার শপথপাঠ রাখতে পারেনি তারা'।


এদিন মামলার শুরুতেই চেয়ারম্যানের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত সওয়াল করেন,'বিজেপি কাউন্সিলররা নানা ধরনের মন্তব্য করে বিভ্রান্ত করছেন। কখনও তাঁরা বলছেন, পুলিশ আটকেছে। কখনও আবার বলছেন, তৃণমূল কাউন্সিলররা বাধা দিয়েছেন'।


বিচারপতি পালটা বলেন,'টিভিতে, সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, বিজেপি কাউন্সিলরদের বাধাদান করা হয়েছে। তাঁরা নিজেরা অনাস্থা ডেকে কি বাড়িতে বসে থাকবেন? সেদিন বৈঠকের নির্ধারিত সময় অন্তত ৪টে পর্যন্ত বাড়ানো উচিত ছিল চেয়ারম্যানের। সেটা হয়নি। তা চেয়ারম্যানের পদকে অসম্মান করে। এটা অগণতান্ত্রিক'।


বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে এক্সিকিউটিভ অফিসার বৈঠক ডাকলেন? মিটিং ডাকা হল অনাস্থার সেখানে আস্থা ভোট হল কীভাবে? 


বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এটা দুর্ভাগ্যের ব্যাপার। আদালত যা বলে, তা মানা হয় না। যা বলা হয় না, সেগুলি করা হয়। এভাবে আদালতকে বিভ্রান্ত করা যায় না। আদালত কোনও দলের হয়ে কাজ করে না। সত্যের পক্ষে লড়াই করে। অন্য মামলা বাদ দিয়ে রোজ এই মামলা শুনছি। কারণ, এখানে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে হবে। গণতন্ত্র ফুটপাথে চলে গেছে। অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা মামলার রায়দানের অপেক্ষায় রয়েছেন।


সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই হবে। মামলা ধারাবাহিকভাবে চলতে পারে না। ১০ কখনই ১১-এর থেকে বেশি নয়। পুলিস আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ বলে রাজ্য সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। বলে রাখি, মামলার পরবর্তী শুনানি ৩১ জুলাই।


আরও পড়ুন- কাউকে অপছন্দ হলে আমার হাবেভাবে বোঝা যায়, রোহিতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জবাব বিরাটের