মুকুল ‘মুক্ত’, এক ডজন মামলা খারিজ হাইকোর্টে
তাহলে এঁদের টাকার উৎস কী?” সেদিন এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারনেনি শিলাদিত্য সান্যাল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ১২ টি মামলাই খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। এর মধ্যে ৯ টি মামলা ছিল বীজপুর থানায়, ২ টি নৈহাটি ও একটি নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
১১ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের এজলাসে শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালতে ৯ টি মামলার শুনানি ছিল। ন’টি মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখে বিচারপতি শিবকান্ত প্রসাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন , মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে কোনও আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। এর আগে দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা সওয়াল জবাব চলে এজলাসে। অভিযোগকারীর আইনজীবী শিলাদিত্য সান্যালকে বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন, “৬ বছর পর কেন ঘটনার অভিযোগ করা হল?” । তাঁর আরও প্রশ্ন ছিল, “যাঁরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা সবাই বেকার ও দুঃস্থ পরিবারের। তাহলে এঁদের টাকার উৎস কী?” সেদিন এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারনেনি শিলাদিত্য সান্যাল।
আরও পড়ুন: শোকেস থেকে জিনিস বার করতে গিয়ে পায়ে লেগেছিল শুড়শুড়ি, উঁকি দিতেই শুকিয়ে গেল গলা
প্রসঙ্গত, মুকুল রায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁর শ্যালক সৃজন রায় কাঁচরাপাড়ায় রেলের কোচ ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কয়েকজন বেকার যুবক-যুবতির থেকে টাকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ। মাথাপিছু ৩ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগকারীদের দাবি। কাঁচরাপাড়ায় গড়ে ওঠার কথা ছিল ওই ফ্যাক্টরি। যদিও সেটি গড়ে ওঠেনি। চাকরিও পাননি কেউ।
বিষয়ে বীজপুর থানায় ৯টি অভিযোগ জমা পড়ে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সৃজন রায়কে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই অভিযোগগুলিতে মুকুলেরও নাম ছিল। এরপর ওই এফআইআর থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদেন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুল।