সেই খুদে পড়ুয়ার ‘যৌন নির্যাতন’কাণ্ডে হাইকোর্টের তিরস্কারের মুখে জিডি বিড়লা স্কুল
ক বার আপনাদের স্কুলে গিয়ে বাচ্চাটি আঘাত পেয়েছে, তাই এখন আর যেতে লজ্জা পাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জিডি বিড়লার খুদে পড়ুয়ার যৌন নিগ্রহের ঘটনায় হাইকোর্টের তিরস্কারের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সোমবার হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি ছিল। এদিন বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়ার ভর্তসনার মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!
বিচারপতি স্কুল কর্তৃপক্ষকে যে প্রশ্নগুলি করেন...
"বাচ্চাটি ১বছর ধরে বাড়িতে বসে আছে। ভবিষ্যত্ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ট্রাস্টিদের সঙ্গে আলোচনা করে আপনাদের যেকোনো স্কুলে ভর্তি ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা করা যায় কি ?’
‘এক বার আপনাদের স্কুলে গিয়ে বাচ্চাটি আঘাত পেয়েছে, তাই এখন আর যেতে লজ্জা পাচ্ছে।’
‘ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত আপনাদের স্কুল কিছুই করেনি। প্রাথমিক ভাবে আমার তাই মনে হচ্ছে।’
‘স্কুলে আসা বাচ্চাদের আপনারা নিজেদের বাচ্চা বলে মনে করেন না কেন?’
‘শিক্ষকদের নিয়োগের সময় আপনার কোন গাইডলাইন মেনে চলেন? ’
‘শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া আর কি কিছু দেখেন?’
‘শিক্ষকের বাড়িতে কোনও সমস্যা আছে কিনা দেখেন কি? এই ধরনের সমস্যা থাকলে সেই সমস্ত শিক্ষকদের অন্য কোথাও থাকা উচিত। স্কুলে নয়।’
‘আপনাদের স্কুলে বাচ্চাদের জন্য কাউন্সেলর আছে? না থাকলে আপনারা বুঝবেন কিভাবে যে কার কি সমস্যা আছে ? ’
‘স্কুলে আমাদের শেখান হতো যে চুরি করা পাপ। মিথ্যা বলা পাপ। সেই শিক্ষা আমরা এখনও মনে করে চলি। ছোটবেলার এই শিক্ষা আমাদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: রাতের খাবার খেয়ে উঠোনে গিয়ে বাড়ির কর্তা যে দৃশ্য দেখলেন, তাতে মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল তাঁর
জিডি বিড়লাকাণ্ডে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্কুলকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অন্য কোন স্কুলে ভর্তি করালে বাচ্চাটির সুবিধা হবে তা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জানাতে অভিভাবককে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে জিডি বিড়লা স্কুলে ৪ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে স্কুলেরই পিটি টিচারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পিটি টিচার অভিষেক রায় বোলপুরের বাসিন্দা। তিনি গত কয়েকবছর ধরে কলকাতায় রয়েছেন। ঘটনাকে ঘিরে বছর খানেক আগে সোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। বিক্ষোভ-আন্দোলনে সোচ্চার হন অন্যান্য স্কুলের অভিভাবকরাও।
আতঙ্ক, ঘটনার ভয়াবহতার রেশ কাটিয়ে উঠেছে সেই শিশু। এখন তার জীবন অনেকটাই স্বাভাবিক। তবুও স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে সে। এখনও কোনও স্কুলেই ভর্তি হয়নি ওই খুদে।