ওয়েব ডেস্ক : আসানসোলে সাংসদ মেলার অনুমতি না দেওয়ায় রাজ্যকে তুলোধোনা করল হাইকোর্ট। সব মেলার ক্ষেত্রেই নিয়মের এত কড়াকড়ি হয় কিনা, তানিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। মেলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসানসোলের মেয়রের ওপরই ছেড়ে দেন বিচারপতি। যদিও তাঁর পরামর্শ, নিরপেক্ষ হয়ে সিদ্ধান্ত নিন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র উদ্যোগে মেলা। অনুমতি দিতে নারাজ আসানসোল পুরনিগম। মেলা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মাঝেই লড়াই গড়ায় আদালতে। মেলার অনুমতি বাতিলের ক্ষেত্রে টেকনিকাল টিমের রিপোর্ট উল্লেখ করে পুরনিগমের যুক্তি ছিল, ১) মেলার বর্জ্য বেরনোর ব্যবস্থা নেই, ২) ঢোকা-বের হওয়ার এবং ভিড় সামাল দেওয়ার সঠিক বন্দোবস্ত নেই, ৩) আশপাশের স্কুলগুলির থেকে "নো অবজেকশন" সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি।


কিন্তু আসানসোল পুরনিগমের সেই যুক্তি ধাক্কা খেল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের এজলাসে। রাজ্যকে কার্যত এই ইস্যুগুলিতেই তুলোধোনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। সরকারপক্ষকে বিচারপতির প্রশ্ন, ময়দানের জমায়েতে কি সব নিয়ম মানতে বলা হয়? সেখানে কি শৌচাগার থাকে? ময়দানের কাছে গঙ্গাসাগর মেলার জমায়েতই বা হচ্ছে কী করে? আসানসোল রেলের মাঠে এর আগে কতগুলি সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে?  সেক্ষেত্রে সব নিয়ম মানা হয়েছে? স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন মেলার অনুমতি দেবে? বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত পুলিসের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু পুলিস তো মেলার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে।


মেলা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারির ওপরই ছেড়ে দেয় আদালত। বিচারপতির পরামর্শ, ফের সাংসদের আর্জি খতিয়ে দেখে নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নিন মেয়র।  হরিশ ট্যান্ডন বলেন, এধরণের মেলা সমাজের পক্ষে ভাল।  সরকারি আইনজীবী আরও যুক্তি দিতে চাইলে ক্ষুব্ধ বিচারপতির মন্তব্য, "বেশি যুক্তি দেখালে প্যান্ডোরার বাক্স খুলে যাবে।" আদালতের চাপের মুখে সুর নরম আসানসোলের মেয়রের।


আরও পড়ুন, সেন্ট জেভিয়ার্সে কোটি টাকা অনুদানের আড়ালে কি বিদেশে টাকা পাচারের ছক?