ওয়েব ডেস্ক: তখন শহর কলকাতা হয়নি। তবুও কালীক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল হুগলী নদীর তীরের এই জনপদ। সময়ের গতিতে ক্ষূদ্র জনপদ আজ মহানগরী। সেই ব্যস্ত শহরের ভিড়ের মাঝেও অমলিন কালীমাহাত্ম্য। উত্তর কলকাতা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই সবকালীমন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে  বহু ইতিহাস, বহু জনশ্রূতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদ্যাপীঠ - কলকাতার উত্তর প্রান্তে  শক্তি আরাধনার অন্যতম পীঠস্থান। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা ছিল অন্নদা ঠাকুরের। কিন্তু স্বপ্নে রামকৃষ্ণদেব বলেন, ইডেন জলাশয় থেকে মাতৃমূর্তি তুলে এনে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে। প্রতিষ্ঠা হয় আদ্যাপীঠ। শুধু মন্দির নয়। একই প্রাঙ্গনে রয়েছে মহিলা ও শিশুদের আশ্রম। তবে মূল মন্দিরে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। নিয়ম অনুযায়ী দীপান্বিতা অমাবস্যা শুরু হলেই তবেই পুজো হয়। সেইমত এবার আদ্যাপীঠে পুজো ররিবার।


আরও পড়ুন কালীপুজো মানেই জুয়ার আসর, তাই জানতে পারলেই খবর দিন পুলিসে


ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি - বৌবাজার মোড়ে ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে মন্দির। আর এই মন্দির ঘিরে কত না গল্প, কত না উপাখ্যান।  লোককথা থেকে রূপোলী পর্দায় বার বার উঠে এসেছে এই মন্দিরের কথা। কথিত আছে এই মন্দিরে বসে গান গাইতেন অ্যান্টনি কবিয়াল। ভিনদেশি ভক্ত কবিয়ালের নামেই পরিচিত পেয়েছে মন্দির। যদিও অনেকে বলেন, ফিরিঙ্গি পাড়ার কাছাকাছি হওয়াতেই নাম হয়েছে ফিরিঙ্গি কালীবাড়ি


ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি - উত্তর কলকাতার এই মন্দির যেন এক খণ্ড ইতিহাস। ডাকাতরা কালীমুর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারপর আর দেবীকে নড়ানো যায়নি। অগত্যা জঙ্গলে ভরা অঞ্চলেই তৈরি হয় মন্দির। জনশ্রুতি বলে, এই মন্দিরের ঘণ্টা বাজিয়ে একসময় দুর দুরান্তে ডাকাতদের হামলার সতর্কবার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হত। ঘণ্টার ঠনঠন শব্দ থেকে মন্দিরের নাম ঠনঠনিয়া। প্রাচীন এই মন্দিরের ইতিহাসে নাম জড়িয়ে রয়েছে দুই মহাসাধকেরও। ডাব আর চিনি দিয়ে এই মন্দিরের মায়ের পুজো দিয়েছিলেন রামকৃষ্ণদেব। এক সময় মন্দির প্রাঙ্গণ ধ্বনিত হত সাধক রামপ্রসাদের কণ্ঠ।


আরও পড়ুন  মাত্র ৭৯ রানে নিউজিল্যান্ডকে আউট করে ম্যাচ এবং সিরিজ জিতল ভারত