নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় পর পর ঘটে যাওয়া  ATM জালিয়াতি তদন্তে নয়া মোড়।  ATM মেশিন সম্পর্কিত কোনও গোপন তথ্য পুলিসের হাতে দিতে নারাজ Hitachi। লালবাজার গোয়ান্দা বিভাগের অভিযোগ রহস্য ভেদে সহযোগিতা করছে না সংস্থা। অন্যদিকে, তাঁদের কর্মীরাই মেশিন খুলবে বলে জানান হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। তাই এই মুহূর্তে  Hitachi-র কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছে , পাঠানো হয়েছে নোটিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, লাল বাজারের গোয়েন্দা বিভাগ এই জালিয়াতিকে Highly Sophisticated Attack বলে মন্তব্য করছে। তাঁরা এখন জানতে চায় ঠিক কোন পদ্ধতিতে মেশিন থেকে কোটি কোটি টাকা বের করেছে তারা। গতকাল (সোমবার) রাতে  ফরেনসিক এক্সপার্টরা নিউ মার্কেট এর এটিএমটি পরিদর্শন  করেন। তাঁদের কথায়, মেশিন দেখলে বোঝাই যাবে না এখান থেকে টাকা লুঠ হয়েছে। 


পাসওয়ার্ড, সফটওয়্যার ও অন্যান্য  বিষয় গুলি জানার জন্যও তথ্য প্রযুক্তি এক্সপার্টকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যে গ্যাং লুঠ চালাচ্ছে তারা বাইরে থেকে কলকাতায় এসেছে। 


উল্লেখ্য, কলকাতার গোয়েন্দা প্রধান মূর্লিধার শর্মা জানিয়েছেন,  গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক (ICICI) থেকে অভিযোগ আসে। তারা জানায় কিছু আনঅথারাইজড ট্রানজাকশন হচ্ছে।  এখনও পর্যন্ত নিউ মার্কেট, যাদবপুর, কাশিপুর, বউবাজার,ফুলবাগান, বেহালা ও বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে ওই বেসরকারি ব্যাঙ্ক। এখানে কোনও সাধারণ মানুষের টাকা নেয়নি ওরা। ১০ লাখ , ৫ লাখ করে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।  মূলত, যে কোম্পানি ওই মেশিনে টাকা রিফিল করে তাদের টাকা লুঠ গিয়েছে। হুবহু এই একই ঘটনা ঘটেছে ফরিদাপুরেও। সেখানকার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে লালবাজার পুলিস।