ওয়েব ডেস্ক: শাসক দলের অযথা হস্তক্ষেপ। ফল? নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে চলেছে আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাদবপুরের ছায়া দেখছে শিক্ষামহল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ঐতিহ্যশালী, অভিজাত, স্বতন্ত্র দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মিলিয়ে দিয়েছে শাসকদলের হস্তক্ষেপ। কলেজ স্ট্রিটে যাদবপুরের ছায়া দেখছে শিক্ষামহল। হোক কলরব! 


মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে পুলিস ঢুকিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ। যাদবপুর কাণ্ডে উপাচার্যের আচরণকেই নিশানা করেছিল ছাত্রসমাজ। কিন্তু, উপাচার্যের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর অন্ধ সমর্থন বদলে দিল পরিস্থিতি। জড়িয়ে গেল, শাসকদলের ছাত্র-শিক্ষক সংগঠনগুলিও। নিটফল, যাদবপুরের আন্দোলন হয়ে উঠল শাসক বনাম ছাত্রসমাজের লড়াই। বৃষ্টিভেজা রাজপথে রব উঠল, হোক কলরব। আপোসহীন সংগ্রামে মোকাবিলায় আসরে নামতে হল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। একসময় যে উপাচার্যের পাশে ছিল সরকার, ছাত্রসমাজের চাপে সরাতে হল তাঁকে। 


আবার কলরব? কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও যাদবপুরের ছায়া। ফিনান্স অফিসারের চাকরি বাঁচাতে যৌথ মঞ্চের আন্দোলন। নিশানায় এবারও উপাচার্য। এবং এবারও অযথা হস্তক্ষেপ করল শাসকদলের ছাত্রসংগঠন। ঐতিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মার খেলেন শিক্ষকরা। তারপরেও, যাদবপুরের মতোই শিক্ষামন্ত্রীর অদ্ভূত অবস্থান। 


যাদবপুরের মতোই, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের অভিমুখও ঘুরে গেছে সরকারের দিকে। রাজপথে আবার উঠেছে গর্জন। যাদবপুরের ভুল থেকে কি কিছুই শেখেনি সরকার? প্রশ্ন তুলছে শিক্ষামহল।