নিজস্ব প্রতিবেদন: খাস কলকাতার বুকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিস। দুষ্কৃতীর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। তাদের মারে তপসিয়া থানার ৭ পুলিসকর্মী আহত হয়েছেন। ছাটান কাল্লু নামে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ঘটনা ঘটে সোমবার রাত ১০ নাগাদ। পার্ক সার্কাস লাগোয়া বেনিয়াপুকুরের হাড্ডিবাগান এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে ছিল শেখ শাহানাওয়াজ ওরফে ছাটান কাল্লু। তপসিয়া থানার ৭ জন পুলিসকর্মী তাকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করতেই সেখানে হাজির হয় তার আত্মীয়রা। কাল্লুকে পুলিসের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। সঙ্গে যোগ দেয় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করে তারা। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছে একজন পুলিসকর্মী। সেই সুযোগে এলাকা ছেড়ে পালায় অভিযুক্ত। 


ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালায় ছাটান কাল্লু। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। উত্তেজনা প্রশমনে মোতায়েন কার হয়েছে বিশাল বাহিনী।  


সারদাকাণ্ডে রাজীব সংক্রান্ত নথি –সহ তদন্তকারী অফিসারকে তলব CBI-এর


জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সুশান্ত হালদার নামে এক যুবককে মারধর করে গায়েব করে দেয় ছাটান কাল্লু। বেশ কয়েকদিন ধরে খোঁজ মিলছে না বছর ষোলের ওই কিশোরের। তার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে কাল্লুকে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিস। 


তবে এখানেই শেষ নয়, বেনিয়াপুকুর এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে পরিচিত ছাটান কাল্লুর বিরুদ্ধে মারধর, হুমকি ও খুনের চেষ্টার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রতি বারই জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় সে। তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত এই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিসকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। 


যদিও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মানতে চাননি মা রাজিয়া বেগম। তিনি বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিস। উলটে পুলিসের বিরুদ্ধে অকারণে লাঠিচার্জের অভিযোগ করেছেন তিনি।