ওয়েব ডেস্ক: সরকারি হাসপাতাল থেকে যে স্টেন্ট বিনামূল্যে পাওয়ার  কথা তার জন্য দিতে হবে ৩.৫ লক্ষ টাকা ঘুষ। ঘুষের টাকা জোগাড় করতে না পারায় হাসপাতালে মৃত্যু পরিবারের একমাত্র ছেলেটার। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে গ্রেফতার বাঙুর ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেসের স্টোর কিপার পলাশ দত্ত। ঘটনায় সরকারি হাসপাতালের দুর্নীতির নতুন চেহারা প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি করছেন অনেকে। 
রবিবার পলাশ দত্তকে গ্রেফতার করে ভবানীপুর থানার পুলিস। আদালতে পেশ করা হলে তাঁকে ১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পলাশ দত্তর বিরুদ্ধে দুর্নীতিদমনের ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে খবর মিলেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৫ জানুয়ারি। মাথায় ব্যথা অনুভব করায় বাঙুর ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ডাক্তার দেখাতে যান সাউথ সিটি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ২৩ বছরের অমিত মণ্ডল। চিকিত্সকরা জানান স্টেইন্ট বসাতে হবে তাঁর মাথায়। স্টেইন্ট ও আনুসাঙ্গিক যন্ত্রাংশ মিলে দাম পড়বে প্রায় ৭.৫ লক্ষ টাকা। তবে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা হওয়ায় তার পুরোটাই বহন করবে রাজ্য সরকার। 
অমিতের অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকা তৈরি করে দেন চিকিত্সক ডিকে রায়। বলেন, হাসপাতালের স্টোরকিপার পলাশ দত্তের সঙ্গে। 


অভিযোগ, ফেব্রুয়ারিতে সেই নথি পলাশবাবুর কাছে পৌঁছে দিতে অমিতের পরিবারের কাছে ৩.৫ লক্ষ টাকা ঘুষ চান তিনি। টাকা জোগাড় না করতে পারলে স্টেন্ট মিলবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওই সরকারি কর্মী। মৃত অমিতের বাবা ধনঞ্জয় মণ্ডলের দাবি, 'মাঝে মাঝেই পলাশবাবুর কাছে গিয়ে স্টেন্টের আবেদনপত্র অনুমোদনের অনুরোধ জানাতাম। ওই ফাইল ব্যাগেই নিয়ে ঘুরতেন তিনি। ব্যাগ থেকে ফাইল বার করে দেখিয়ে বলতেন, ফাইল কাছেই আছে। টাকার ব্যবস্থা করুন। স্বাস্থ্য ভবন থেকে স্টেন্টের ব্যবস্থা করে দেব।' 


কলকাতা মেট্রোর বোধোদয়, অবশেষে স্মার্টকার্ডে ঠাঁই পেল বাংলা


এরই মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল হাসপাতালেই মৃত্যু হয় অমিতের। এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয় মণ্ডল পরিবার। তরতাজা ছেলেটাকে হারিয়ে দিশেহারা মা ঝরনা মণ্ডল।