ওয়েব ডেস্ক: কীভাবে ধরা পড়ল কিডনি পাচারচক্রের চাঁই? গত ১৫ই মে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির সরিতাবিহার থানা এলাকায় এই চক্রের হদিস মেলে। পাহাড়গঞ্জে একটি হোটেল ভাড়া নেন নিউ জলপাইগুড়ির দম্পতি দেবাশিস মৌলিক ও মৌমিতা মৌলিক। স্ত্রী নিখোঁজ, এই মর্মে পাহাড়গঞ্জ থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করে দেবাশিস। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, স্থানীয় হাসপাতালে মৌমিতার কিডনি অবৈধভাবে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে দেবাশিস।


এই ঘটনা থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই স্ত্রীর নিখোঁজের ডায়েরি করে সে। দেবাশিস, মৌমিতাকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদের জেরা করে উঠে আসে চক্রের চাঁই রাজকুমার রাওয়ের নাম। দক্ষিণ কলকাতার একটি ঠিকানার সন্ধান পায় দিল্লি পুলিস। ইনস্পেক্টর মনিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে ওই ঠিকানায় হানা দেয় দিল্লি পুলিস। কিন্তু পাওয়া যায়নি রাজকুমারকে। হাওড়ার একটি ঠিকানাতেও হানা দেয় পুলিস। কিন্তু সেখানেই মেলেনি রাজকুমারের খোঁজ। অবশেষে রাজারহাটের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।