ওয়েব ডেস্ক : হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আলুর আড়ত। মাঠ থেকে আলু যাচ্ছে হিমঘরে। তারপর?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

থলি হাতে বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের পছন্দ নিটোল আলু। কিন্তু, দাগ লাগা-মাটি লাগা আলুও তো বিক্রি করতে হবে। তাই এলামাটি দিয়ে আলুর মেকওভার। খুঁত ঢাকতে ফ্যানের হাওয়ায় আলু শুকিয়ে নেওয়ার পর গায়ে লাগানো হয় সুরকির গুঁড়ো মেশানো এলামাটি। বাঁকুড়া-ঝাড়খণ্ডের নানা খাদান থেকে আসে এই এলামাটি। ১ বস্তা এলামাটিতে ১৫০ বস্তা আলু রঙ করা যায়।


আড়ত থেকে এলামাটি মাখা আলুই চলে আসছে আমার-আপনার ঘরে। রোজকার আলুর সঙ্গে শরীরে ঢুকছে বিষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এলামাটি হল মিশ্র খনিজ পদার্থ। এতে থাকে হাইড্রেটেড ফেরিক অক্সাইড। যা শরীরে ঢুকলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যায়। যে শ্রমিকরা আলুতে এলামাটি মাখানোর কাজ করেন তাঁদের ফুসফুস এবং ত্বকের ক্ষতি হয়।


আলুতে এলামাটি মাখানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত নিজেই ঘোরা শুরু করেছেন নানা হিমঘরে। বৃহস্পতিবার হুগলির জৌগ্রামের একটি হিমঘরে তিনি হাতেনাতে ধরে ফেলেন এলামাটি মাখা আলু।