নিজস্ব প্রতিবেদন: ভ্যাকসিন নিয়ে সঙ্কট কাটছে না রাজ্যে। তা নিয়ে মামলা-প্রতি মামলা হয়েই চলেছে। এবার সেই সমস্ত মামলার শুনানিতেই কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন রাখল হাইকোর্ট। রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রের নীতি কী, তা জানতে চেয়েই প্রশ্ন করল কলকাতা হাইকোর্ট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ।একই সঙ্গে রাজ্যের কাছে আদালতের প্রশ্ন, কতজন গ্রামের মানুষরা ভ্যাকসিন পেয়েছে? গ্রামে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াই বা কেমন চলছে? কি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে?


 সেই সঙ্গে কেন্দ্র কত ভ্যাকসিন বিভিন্ন রাজ্যকে দিয়েছে তাও জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের আইনজীবীকে। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে দেশে ভ্যাকসিন বন্টন নিয়ে। গ্রামের অনেকেই নাকি ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। ফলে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে  জোভেরিয়া সাব্বা সহ পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। 


রাজ্য এদিন জানায়,  ১কোটি ৫৮ লক্ষের বেশি মানুষ প্রথম ডোজ পেয়েছেন।  ৪৫ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই দু'টি ডোজ  পেয়েছেন। মোট ২কোটি ৩ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ সরকারি জায়গা থেকে টিকা পেয়েছেন। 
বেসরকারি জায়গা থেকে টিকাকরণ হয়েছে ২৭ লক্ষ২ কোটি মানুষ।  


আরও পড়ুন, সরকারি রেজিস্টার কারচুপি করে ভ্যাকসিন চুরি, সোনারপুরকাণ্ডে নয়া মোড়


৯ কোটি ১৩ লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে ১৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৬৩০ জন মোট টিকা পেয়েছেন। রাজ্য জানিয়েছে,  গ্রামেও চলছে ভ্যাকসিন।  'টিকা নিয়ে কারা অসুস্থ হয়েছেন সেই হিসেবও এদিন রাজ্যসরকারের কাছে জানতে চায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। 


বৃদ্ধ মানুষদের লাইন কেন দিতে হচ্ছে? ওল্ডেজ হোমগুলিতে কি টিকা  সম্পন্ন হয়েছে?ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের কত ভ্যাকসিন দিয়েছেন তার হারও জানান দরকার বলে এদিন হাইকোর্টের তরফে বলা হয়। 


এদিকে মামলাকারীর তরফে জানান হয়,  উত্তর ২৪ পরগণায় জনসংখ্যা ১ কোটির বেশি। সেখানে সরকারি কোনো হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই। এদিন বেসরকারি হাসপাতালের জন্য কড়া মনোভাব দেখান বিচারপ্তি বিন্দল। প্রশ্ন করেন, ''সব সময় টাকা রোজগারের জন্য নয়। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। এত বিল কেন?"