নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাগাড়ে মরা পশুর মাংসের রমরমা কারবার। ছোটখাট কোনও চক্র নয়। পুরো যেন একটা ইন্ডাস্ট্রি চলছে! কীভাবে চলছিল এই কারবার? ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস কীভাবে সংরক্ষণ করা হত? ধৃতদের জেরায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিভিন্ন ভাগাড়ে লোক রাখা হত। তারাই ইনফর্মারের কাজ  করত। কুকুর, বিড়াল বা যেকোনও মরা পশুর দেহ এলেই খবর চলে যেত। তারপরই এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অপর দল ভ্যান নিয়ে পৌঁছে যেত ভাগাড়ে। সেই ভ্যানের মধ্যেই থাকত বরফ। সেই বরফ দিয়ে ঢেকেই চালান করা হত মরা পশুকে।


আরও পড়ুন, রাজ্যের কাছ থেকে যথাযথ নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েই একদফায় ভোট : কমিশন সচিব


বরফে ঢাকা মরা পশু তারপর পৌঁছে যেত নির্দিষ্ট কারখানায়। সেখানেই চলত মরা পশুর মাংসের প্রক্রিয়াকরণ। ওই কারখানায় মরা পশুর দেহটিকে ছোট ছোট টুকরো করে কাটা হত। পচন যাতে না ধরে, তাই আগে বের করে নেওয়া হত চর্বি।


ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, চর্বি ছাড়ানো মাংসে তারপর পাউডারের মত সাদা রঙের রাসায়নিক মেশানো হত। এমনকি মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, কখনও কখনও সেই ইঞ্জেকশনও দেওয়া হত। প্রক্রিয়াকরণের পর ফ্রিজে রাখা হত রাসায়নিকমিশ্রিত মরা পশুর মাংস। ফ্রিজে থাকত ৩টে কুঠুরি। ফ্রিজের তাপমাত্রা রাখা হত -৪৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে।


আরও পড়ুন, রাজাবাজার থেকে উদ্ধার ২০ টন ভাগাড়ের মাংস, উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য


চাহিদা অনুযায়ী তারপর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হত এই মাংস। জানা যাচ্ছে, খোলা বাজার অপেক্ষা রিটেল স্টোরে বেশি বিক্রি করা হত এই মাংস। কারবারিদের কাছ থেকে মরা পশুর মাংস কেনার পর তা নিজেদের মত প্যাকেজিং করে নিত অসাধু ব্যবসায়ীরা।