দেবব্রত ঘোষ: দুর্গা পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। সবাই যখন উৎসবের মেজাজে মেতে উঠতে শুরু করেছেন তখন হাসি নেই হুগলী নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির কর্মচারীদের মুখে। কারণ দুমাসের বকেয়া টাকা পাননি তাঁরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাস তাদের পুজোর বোনাস দেওয়া হবে। তবে সরকারি হস্তক্ষেপ ও ভাড়া না বাড়লে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত এই সংস্থার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-স্নানের ভিডিয়ো করছে কেউ, বেরিয়ে আসতেই নার্সের হাতে পাকড়াও পুলিস কনস্টেবল


হুগলী নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি লিমিটেডে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে। ভেসেলগুলো ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। এই সমবায় সমিতির অধীনে ১৩টি বড় লঞ্চ ও ৮টি ছোট কাঠের লঞ্চ রয়েছে। হাওড়া থেকে শোভাবাজার, বাগবাজার,আর্মেনিয়াম, বাবুঘাট-সহ আরো কিছু রুটে এই লঞ্চগুলো যাতায়াত করে। কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলছে। নিয়মিত বেতন হচ্ছে না। সামনে পুজো। এইসময় পরিবারের জন্য কিভাবে কেনাকাটা করবেন তা জানেন না।


নীলয় চক্রবর্তী নামে এক কর্মী জানান, লোকসানে চলছে এই সংস্থা। লঞ্চের ভাড়া না বাড়ালে এবং সরকারি হস্তক্ষেপ না হলে ভবিষ্যতে হয়ত এই গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। সংস্থার পক্ষ থেকে বোনাস দেবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কর্মীরা এই সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।


এই সমবায় সমিতির স্পেশ্যাল অফিসার জয় ধর পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান কোভিডের সময় থেকে সমস্যা বেশী শুরু হয়। লঞ্চগুলো বন্ধ অবস্থায় পড়েছিলো। রাজ্য সরকার দুদফায় ৮ কোটি টাকা দিয়েছিলো। কিন্তু লঞ্চ রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মচারীদের মাইনে দেওয়াতেও সেই টাকা কুলোয়নি। তাছাড়া অন্যান্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়লেও এখানে দীর্ঘদিন ধরে ছয় টাকা ভাড়া রয়েছে। ফলে লোকসান হচ্ছে। দুমাসের বকেয়া বাকি। স্থায়ী অস্থায়ী কর্মী প্রায় তিনশো জন। পুজোর আগে অন্তত বোনাস দেবার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জয় ধর আরো জানান লঞ্চ গুলোর ফিটনেস সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী জানুয়ারি মাসে। নতুন ফিটনেস সার্টিফিকেট করাতে খরচ প্রচুর টাকা। এরমধ্যে ফিটনেস সার্টিফিকেট না হলে বন্ধ হয়ে যাবে এই সমস্ত রুটে লঞ্চ পরিষেবা। তবে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখান থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা দেবার জন্য আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি লঞ্চ ভাড়া কমপক্ষে দু টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই রুট গুলোতে বছরে প্রায় এক কোটি তিরিশ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। ভাড়া বাড়লে দুকোটি ষাট লাখ টাকা আয় হবে। এরফলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে হুগলী নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। তা না হলে এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)