নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ার বিস্তৃর্ণ এলাকায় অশান্তির পর জেলা পুলিসে ব্যাপক রদবদল করা হল। সাবধানতা হিসেবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে আজ পাঁচালা যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরে তিনি রাজভবনে গিয়ে হাওড়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েত করার দরবার করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিকে, হাওড়ার অশান্তি নিয়ে আজ রাজ্যপাল এক বার্তায় বলেন, হাওড়ার আশান্তির ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। এক্ষেত্রে রাজ্য প্রশাসন আগাম ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা আইন শৃঙ্খলায় বিশ্বাস করে না তাদের অশান্তিতে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের নীরবতা ও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া দুস্কতীদের উত্সাহ দিয়েছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে এর কোনও জায়গা নেই। রাজ্যের মুখ সচিবকে সতর্ক করেছি, অত্যন্ত দৃড়তার সঙ্গে পরিস্থিতির মেকাবিলা করতে হবে। গতকাল রাতে তিনি বলেছিলেন, সব ঠিক রয়েছে। আর রাত পার হতেই পরিস্থিতি পুরো বদলে গিয়েছে। 


রাজ্যপাল আরও বলেন, সবার কাছে আমার অনুরোধ শান্তি বজায় রাখুন। পাশাপাশি সরকার ও বিশেষকরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, যারা ভাঙচুর করেছে, আগুন জ্বালিয়েছে, অরাজকতার সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।   


উল্লেখ্য, নবিকে নিয়ে সাসপেনডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য জেরে বিক্ষোভ-অবরোধে শুক্রবার থেকেই উত্তাল হাওড়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার কড়া পদক্ষেপ করে প্রশাসন। সোমবার পর্যন্ত জেলাজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রায় জনজীবন স্তব্ধ হওয়ার পরিস্থিতি।


শুক্রবার উলুবেড়িয়ার পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পাঁচলা। কোনও প্ররোচনা ছাড়াই তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে একাংশের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ফের একটা দলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, হঠাৎ করে হামলা চালায় একটা অংশের মানুষ। কার্যত শ্মশানে পরিণত করা হয় এলাকাকে। একাধিক বাড়ি, দোকানে আগুন  লাগিয়ে দেওয়া হয়। কোনও কারণ ছাড়াই ভাঙচুর করা হয়। বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে এলাকা ছাড়া বাসিন্দারা। যারা এখনও রয়েছেন তাঁদের অভিযোগ, পুলিসের সামনেই হামলা চালানো হয়েছে। কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে পুলিস।


হাওড়ার মতো অশান্তি শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গায়। সেখানেও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতী। তাই আগে ভাগে সতর্ক প্রশাসন। শনিবার নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। কোথাও জমায়েত হলে কঠোর হাতে মোকাবিলা করার নির্দেশ দিওয়া হয়েছে। গাড়ি,বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে গ্ৰেফতারির কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, রেজিনগরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধও করে দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন-Howrah Violence: "এরা ভোটব্যাঙ্ক, মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই অশান্তি", হাওড়ায় সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়ে রাজ্যপালের কাছে বিজেপি


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)