পিয়ালি মিত্র: হামলার পরিকল্পনা ছিল কলকাতা থেকে আইসিস জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার ২ যুবকের। তাদের নিশানায় ছিলেন দুই মুরুব্বি অর্থাত্ বিশিষ্ট ধর্মগুরু। সেই জন্য অস্ত্র সংগ্রহের কাজ করছিল সাদ্দাম হোসেন ও সইদ। অস্ত্র হাতে পেলেই তারা তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করত। এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিস সূত্রে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ধর্ষণকারীর মাকে গুলি করে ধর্ষককে শাস্তি কিশোরীর!


ইতিমধ্যেই পুলিসের কাছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এসেছে। ওই দুজনের দীর্ঘমেয়াদী একাধিক পরিকল্পনা ছিল। তার মধ্য়ে আশু টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছিল দুজন মুরুব্বিকে। এর জন্য ব্লু প্রিন্টও তৈরি করে ফেলেছিল তারা। হামলার জন্য যে অস্ত্রের প্রয়োজন তা সংগ্রহ করার জন্য ডিলও করে ফেলেছিল। সেই অস্ত্র হাতে পেলেই তারা হামলা চালাতো। এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিস সূত্রে।


তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন রাজস্থানের উদয়পুরে যেভাবে এক দর্জিকে গলা কেটে খুন করা হয়েছিল এবং সেই ছবি ভাইরাল করা হয়েছিল সেরকমই প্ল্যান ছিল এই দুজনের। অর্থাত্ আইসিস যে এদেশে চলে এসেছে সেই বার্তা দেওয়াই ছিল তাদের লক্ষ্য।কিন্তু পুলিসের কাছে আগে থেকেই এই পরিকল্পনার খবর ছিল। ফলে কোনও অপারেশনের আগেই দুজনকে গ্রেফতার করে নিল পুলিস।


আইসিসের কাছাকাছি প্রথমে আসে সাদ্দাম। পরে সে সইদ-কে দলে টানে। জাওয়াহারির মতো নেতার একাধিক ভিডিয়ো দেখতে শুরু করে সাদ্দাম। পরে আইসিসের বহু নেতার সঙ্গে তার যোগাযোগ তৈরি হয়ে যায়। তারপর সাদ্দামের হাত ধরে প্রথম রিক্রুট হল সইদ। 


রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ সম্পর্কে প্রাক্তন এনএসজি আধিকারিক দীপাঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, সরকার সব জানে। আইসিসের খোরাসান গোষ্ঠী ভারত, আফগানিস্থান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার নিয়ে ইসলামিক স্টেট গঠন করতে চায়। এখানে ওদের একটাই বাধা, তা হল ভারত। সেক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ভারতের পূর্ব প্রান্তকে, অর্থাত্ পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুরের একটা অংশ। এরাজ্যে পুলিস রাজনৈতির কারণে হওয়া সমস্যা সমাধানে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। রাজ্যে এরকম দুই জঙ্গি ধরা পড়েছে। এটা খুবই চিন্তার ব্যাপার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)