নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রীকে প্রথমে ভিডিয়ো কল করেন। ভিডিয়ো কলে স্ত্রীকে বলেন, "আমি আত্মহত্যা করছি।" এরপরই ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল সিভিক ভলেন্টিয়ার স্বামীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম চন্দন সিং। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কী কারণে কেন পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার চন্দন সিং আত্মহত্যা করলেন? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বড়তলা থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছট পুজো উপলক্ষে পরিবারের সবাই বিহারে গিয়েছেন। বাড়িতে একাই ছিলেন চন্দন সিং। এরপর শনিবার রাতে স্ত্রী ববিতা দেবী সিংকে ভিডিয়ো কল করেন চন্দন। ভিডিয়ো কলে তিনি বলেন, "এই দেখ, আমি আত্মহত্যা করছি।" পরিবার সূত্রে খবর, তারপর থেকেই আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না চন্দন সিংকে। স্বামীর কথায় সন্দেহ হওয়ায়  সঙ্গে সঙ্গেই এক প্রতিবেশীকে ফোন করেন চন্দন সিংয়ের স্ত্রী। একবার তাঁদের ঘরে গিয়ে দেখতে বলেন তিনি। 


জানা গিয়েছে, ওই প্রতিবেশী এসে দেখেন, ঘরের দরজা ভেজানো অবস্থায় রয়েছে। আর ঘরের ভিতর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন চন্দন সিং। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেছে। এক প্রতিবেশী জানান, দম্পতির ৩ সন্তান।  বড় মেয়ের বয়স ১০ বছর। এছাড়া ৮ বছরের একটি ছেলে ও ৭ বছরের আরও একটি মেয়ে রয়েছে। 


কিন্তু কী কারণে এই আত্মহত্যা? পারিবারিক অশান্তি নাকি আর্থিক অনটন? সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। ওদিকে চন্দন সিংয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের লোকেরা বিহার থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন, ফোনে মিলল সূত্র, 'পরকীয়া'র জেরেই কি খুন একবালপুরের নয়না? গ্রেফতার দম্পতি