অঞ্জন রায়: তেলেঙ্গানায় পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের সমালোচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয় বলে অভিমত দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর সুরই শোনা গেল তথাগত রায়ের গলায়। তেলেঙ্গানা পুলিসের পাশে দাঁড়ালেন না মেঘালয়ের রাজ্যপাল। তাঁর কথায়,''ক্যাঙ্গারু কোর্ট বা এনকাউন্টার অপরাধের যথাযথ শাস্তি দেওয়ার রাস্তা হতে পারে না।''                     
   
তথাগত রায় বলেন,''ক্যাঙারু কোর্ট বা এনকাউন্টার অপরাধের শাস্তির যথাযথ রাস্তা হতে পারে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা দরকার। আদালত শাস্তি দেবে। এদিক-ওদিক লোককে গুলি করে মেরে ফেলা সাধারণভাবে কাম্য নয়। ব্যতিক্রম থাকতে পারে। অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়ার বাবা তরুণ ভাদুড়ির 'অভিশপ্ত চম্বল' বলে বই লিখেছিলেন। ওই বইয়ে রয়েছে, মধ্যপ্রদেশের তত্কালীন এসপি বলেছিলেন, ডাকাতদের ধরলেও কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায়। তাই এনকাউন্টার না করলে ওরা ছাড়া পেয়ে যাবে। এরকম পরিস্থিতিতে যৌক্তিকতা থাকতে পারে। তবে এখানে নিন্দা না করে পারছি না।''


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তেলেঙ্গানা পুলিসের এনকাউন্টারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের অধিকাংশ মানুষ। তথাগতবাবুর কথায়,''মেনে নিচ্ছি, ওরা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে এনকাউন্টার কাম্য নয়। মাওবাদীরা গণ আদালত বসিয়ে শাস্তি দেয়। সেটাও সমর্থন করি না।''        


শুক্রবার মেয়ো রোডের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,''আইনকে আমি নিজের হাতে তুলে নিলাম, এটা আইন নয়। পুলিশ নিজের কাজ করে আদালতে পেশ করবে অপরাধীদের। এটাই আইন। বিচারক আবার বিচারকের কাজ করবেন।'' রাজ্য পুলিসকে এই ধরনের ঘটনায় তত্পর হতে নির্দেশ দেন মমতা। বলেন,'' দ্রুত চার্জশিট দিয়ে গ্রেফতার করতে হবে অপরাধীদের। ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রমাণপত্র জোগাড় করে ফেলতে হবে। জরুরি ভিত্তিতে এটা করতে হবে। যে কাজ করবে, তার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে ব্যবস্থা।'


বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও এনকাউন্টারের সমর্থন করেননি। তিনি বলেছিলেন,''এভাবে চললে বিচার ব্যবস্থা উপর আস্থা চলে যাবে। গণতন্ত্রের পক্ষে এটা বিপজ্জনক।'' 



গত ২৭ নভেম্বর হায়দরাবাদের সামশাবাদে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয় তরুণী চিকিৎসককে। ওই ঘটনায় ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিস। শুক্রবার কাকভোরে তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিস। তেলেঙ্গানা পুলিস জানায়, অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে। তখন গুলি চালানো হয়। এনকাউন্টারে তাদের মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন- খতম ১০৩ অপরাধী, আহত ১৮৫৩, গত ২ বছরে 'ফয়সলা অন দ্য স্পট' করেছে যোগীর পুলিস