Babul Supriyo: বেঞ্চে বসতে ভালো লাগে না, যে দল প্রথম ১১-এ নেবে সেই ক্লাবে খেলব
রাজনৈতিক কটাক্ষের বিষয়ে তিনি জানান নেতারা ভণ্ডামি করছেন। যারা টেলিভিশনের পর্দায় তাকে কটাক্ষ করছেন তারাই আবার ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ করে বলছেন যে তিনি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং বাবুল যেন তাদের বক্তব্যে কিছু মনে না করেন।
নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবাসরীয় দুপুরে এই সময়ের সবথেকে বড়ো দলবদলটা হল তৃণমূল ভবনে। ২ বারের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় যোগদান করলেন তৃণমূলে।
রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস গ্রহণের ঠিক ৭ সপ্তাহ পরেই বাবুল যোগ দিলেন সেই দলে যার বিরোধিতা করেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে তার উত্থান। স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে একাধারে সমালোচিত এবং উৎসাহিত হচ্ছেন বলে মনে করছেন বাবুল নিজে। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বাবুল জানিয়েছেন তিনি বেঞ্চে বসতে ভালো বসেননা। যে দল তাকে প্রথম এগারোয় সুযোগ দেবে তিনি সেই ক্লাবে খেলবেন। প্রথমবার আসানসোল থেকে যখন তিনি যেতেন তখন অনেকেই মনে করেছিলেন গায়ক হিসেবে সুনাম থাকায় তিনি জিতেছেন কিন্তু আসানসোল থেকে দ্বিতীয়বার বেশি ভোটে জিতে তিনি এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন যে মানুষের জন্য কাজ করলে ভোটে জেতা কোনো কঠিন বিষয় নয়। এই ৭ বছরের সাংসদ জীবনে তিনি মাঠে ময়দানে থেকে লড়াই করেছেন। মানুষের জন্য কাজ করেছেন কিন্তু বিজেপি সেই কাজের জন্য তাকে সঠিক মর্যাদা দেয়নি।
বিজেপিতে থেকে কোথাও তার মনে হচ্ছিলো যে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ থেকে তিনি বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলত হঠাৎ করে তৃণমূলের তরফ থেকে আসা এই সুযোগকে তিনি অগ্রাহ্য করতে পারেননি। ৭ বছরের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মানুষের জন্য আরোও বেশি মাত্রায় কাজ করার সুযোগ পাবেন এই আশ্বাস তিনি পেয়েছেন। যদিও বাবুল পরিষ্কার করে জানাননি তৃণমূলে তিনি কি দায়িত্ব পাবেন কিন্তু তিনি জানিয়েছেন তার রাজনীতি ছাড়ার পণ যখন তিনি ভেঙেছেন তখন নিশ্চই এমন কোনো সুযোগ তিনি তৃণমূলের তরফে পেয়েছেন যাকে অগ্রাহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: Babul Supriyo: 'বিজেপি যৌথ নেতৃত্বের ভিত্তিতে চলে, দল যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব', বললেন জিতেন্দ্র
রাজনৈতিক কটাক্ষের বিষয়ে তিনি জানান নেতারা ভণ্ডামি করছেন। যারা টেলিভিশনের পর্দায় তাকে কটাক্ষ করছেন তারাই আবার ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ করে বলছেন যে তিনি সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং বাবুল যেন তাদের বক্তব্যে কিছু মনে না করেন। বাংলার মাটিতেই তিনি রাজনীতি করবেন এবং বাস্তবের রুক্ষ জমিতে দাঁড়িয়েই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এও জানান সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি যা লিখেছেন তিনি এখনো তাই মনে করেন এবং মন্ত্রিত্বের জন্য তিনি পদত্যাগ করেননি। বিজেপি তার উপর ভরসা রাখতে পারেনি নাহলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হত না বলে তিনি মনে করেন।
তিনি জোর দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন যে তিনি টাকার জন্য রাজনীতি করতে আসেননি। তিনি এসেছেন মানুষের কাজ করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং কাজের সুযোগ দিয়েছেন। অর্পিতা ঘোষ রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করার পরেই তাঁর যোগদানের ঘটনা ঘটলেও বাবুল এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তার বক্তব্য দল যে দায়িত্ব দেবে, তিনি তা পালন করবেন।