ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যপালকে বেনজির তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। ফোন করে হুমকি দিয়েছেন রাজ্যপাল। বিজেপির ব্লক সভাপতির মতো কথা বলেছেন তিনি। এমন কথা বলতে পারেন না রাজ্যপাল। নবান্ন থেকে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর। অসম্মানিত হয়ে পদত্যাগের কথাও ভেবেছিলেন বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। অসম্মানজনক ও হুমকির সুরে কোনও কথা বলেননি। বিবৃতি রাজ্যপালের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যপালের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে মুখ্যমন্ত্রী। কেশরীনাথ ত্রিপাঠিকে বেনজির আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।


হঠাত্‍ কেন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল মুখ্যমন্ত্রীর? সলতেটা পাকে অনেক আগেই। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় বসিরহাট ও সংলগ্ন এলাকায়। এরপর সোমবার ফেসবুকে একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। বসিরহাটের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালকে নালিশ জানান বিজেপি নেতৃত্ব। ঠিক তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে সোজা ফোন রাজ্যপালের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৈফিয়ত তলব করেন রাজ্যপাল। রাজ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোনে রাজ্যপাল জিজ্ঞাসা করেন, আইনশৃঙ্খলা তো আপনার হাতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন কই? বসিরহাটে কেন আধাসেনা মোতায়েন করা হচ্ছে না?


রাজ্যপালের ফোনে আগুনে ঘি পড়ে। বিকেলে ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বেনজির আক্রমণ করেন রাজ্যপালকে।


বিজেপির পক্ষ নিয়ে রাজ্যপাল তাঁকে অসম্মানিত করেছেন বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। "রাজ্যপাল বিজেপির ব্লক সভাপতির মতো কথা বলছেন", প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি বা রাজ্যপালের দয়ায় তিনি ক্ষমতায় আসেননি বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। "মানুষের দয়ায় ক্ষমতায় এসেছি। রাজ্যপালের বোঝা উচিত, তিনি মনোনীত পদে বসে আছেন", মন্তব্য  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যপালের ফোনে এতটাই অসম্মানিত বোধ করেন যে পদত্যাগ করার কথাও ভাবেন মুখ্যমন্ত্রী।


তবে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে যা বলেছেন, তাতে যে তিনি বিন্দুমাত্র বিচলিত নন, তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে তিনি বিস্মিত। জানিয়ে দেন রাজ্যপাল। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে যে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মানজনক বা হুমকির সুরে তিনি কোনও কথা বলেননি বলে জানান রাজ্যপাল।