নিজস্ব প্রতিবেদন: Zee 24 Ghanta-য়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই ডেকে পাঠানো হল অভিষেক ও বার্নিককে। যে পুলিস তাঁদের বলেছিলেন, 'হাফ প্যান্ট পরে থাকলে  অভিযোগ গ্রহণ করা যাবে না', তাঁকে চিন্থিত করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ডিসি রসিদ মুনির খাঁ অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনারকে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি ওই দুই যুবকের অভিযোগ শুনে এবং পোশাক নিয়ে যিনি মন্তব্য করেছিলেন তাঁকে চিন্থিত করেছেন। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। কেন তিনি এমন মন্তব্য করেছিলেন, তা জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, হাফ প্যান্ট পরে যাওয়া যুবকের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কসবা থানার পুলিস। অভিযোগ না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয় দুই যুবককে। ফুলপ্যান্ট পরে গেলে অভিযোগ নেয় না কসবা থানা! এমনটাই অভিযোগ করেছিল যুবক। সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতা পুলিসকেও অভিযোগ করেন যুবক। কিন্তু তাতেও যে উত্তর তাঁরা পান, তাতে স্তম্ভিত হন তিনি।  


সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিসকে সরাসরি প্রশ্ন করেন যুবক।  থানায় অভিযোগ জানাতে ড্রেস কোড দরকার নাকি?  আপনি কি শর্টস পরে অফিসে যান? পাল্টা প্রশ্ন করে কলকাতা পুলিস। 


অভিযোগকারীদের নাম অভিষেক ও বার্ণিক। বার্ণিকের বাড়ির কাছে একটি মন্দির রয়েছে। সেখানে চুরি হয়। সেই চুরির অভিযোগ দায়ের করতে এসেছিলেন তাঁরা। বার্ণিকের কথায়, সেই সময় থানা থেকে জানান হয়, আপনারা হাফ প্যান্ট পরে আছেন। বাড়ি থেকে ফুল প্যান্ট পড়ে আসুন। তখন বার্ণিক অনুরোধ করেন, দেখুন এটি তো জরুরি বিষয়। বাড়িতে চুরি হয়ে গিয়েছে। তাও তাড়াতাড়ি বাড়িতে গিয়ে পোশাক বদলে আসেন তাঁরা। এরপর অভিযোগ রেজিস্টার করেন। সাহায্য করে থানা।


কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, সত্যিই কি এই ড্রেস কোডের প্রয়োজন! কৌতুহল জাগে দুই যুবকের। উত্তর জানতে কলকাতা পুলিসকে টুইটার হ্যান্ডেলে জিজ্ঞাসা করেন তাঁরা। কারণ এই তথ্য সাধারণ নাগরিকের জানা উচিত। প্রথমে কোনও উত্তর পাইনি। অভিষেকের কথায়, "তারপর মেইল করি পুলিসের বিভিন্ন অফিসিয়াল মেইল আইডিতে। এরপর টুইটারে মেসেজ অপশনে প্রশ্ন করায় উত্তর পাই"। 


সেই উত্তরেই পুলিস জিজ্ঞাসা করেন, "আপনি কি শর্টস পরে অফিসে যান?" এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হস্তক্ষেপ করেন ডিসি রসিদ মুনির খাঁ।