ধীরে ধীরে জবরদখলের গ্রাসে বাইপাস, নীরব দর্শক প্রশাসন
বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে বাইপাসে কমে গিয়েছে যানের গতি।
কমলাক্ষ ভট্টাচার্য
বেনিয়মই নিয়ম। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই শহরজুড়ে চলছে বেআইনি পার্কিংয়ের রমরমা কারবার। বাইপাসে তিন লেনের রাস্তা চলে গিয়েছে পার্কিংয়ের গ্রাসে। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে একের পর এক চার চাকা গাড়ি। ব্যক্তিগত থেকে বাণিজ্যিক পরিবহণযান ঠাঁই করে নিয়েছে রাস্তার ধারে।
বাইপাসে দুধারে তিন লেনের রাস্তা। শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতেই বাইপাসের পত্তন। অথচ সেই বাইপাসেই কমে গিয়েছে যানের গতি। সৌজন্যে বেআইনি পার্কিং। রাস্তার দখল নিয়েছে সার দেওয়া গাড়ি। আর যতদিন যাচ্ছে, ততই সরু হচ্ছে রাস্তা। আর স্লথ হচ্ছে ট্রাফিক। ফলে মাঠে মারা যাচ্ছে বাইপাস তৈরির আসল উদ্দেশ্য।
ঢালাই ব্রিজ থেকে কামালগাজি, রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা এলাকার ৩ কিলোমিটার অংশ কার্যত জবরদখলকারীদের জিম্মায়। বেআইনি পার্কিংয়ে অবরুদ্ধ রাস্তার দুই দিক। ফলে চওড়া লেন হয়েছে সরু। গতি হারাচ্ছে যান।
রাস্তার ধারে কিন্তু জ্বলজ্বল করছে 'নো পার্কিং' সংকেতবার্তা। কিন্তু এসবকে থোড়াই কেয়ার! সার দিয়ে দাঁড়িয়ে লরি, গাড়ি। শুধু তাই নয়, রাস্তার উপরে অটো ও রিকশা ছাউনিও। ব্যস্ত সময় এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। গোটা বিষয়টি অবশ্য দায়সারা গোছের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পুরপ্রধান পল্লব দাস। তাঁর সাফাই,''পুলিসের তত্পরতা আরও বাড়ানো হবে। নরেন্দ্রপুরের নতুন থানার সঙ্গে সমণ্বয় রেখে চলবে অভিযান''। কিন্তু প্রশ্ন তো রয়েই যাচ্ছে। একদিনে তো আর রাস্তা দখল হয় না? এতদিন ধরে তিলে তিলে বাইপাস চলে যাচ্ছে জবরদখলকারীদের হাতে অথচ নীরব দর্শক প্রশাসন!
আরও পড়ুন- হলফনামার গেরো এড়াতে ২২ ডিসেম্বর তারাপীঠে রথযাত্রার সূচনা করতে চলেছে বিজেপি
শহরের আনাচে কানাচে সর্বত্রই বাসা বেঁধেছে আইনকে ফাঁকি দেওয়ার এই গভীর অসুখ। আইন আছে আইনের ফাঁকও আছে। সেই ফাঁকেই দিব্যি বেঁচে আছে আমাদের এই অনিয়মের শহর।